থার্টিফাস্ট নাইটে পিকনিক করতে গিয়ে ভবনের সিঁড়ি থেকে পড়ে যান শিক্ষক আবদুল মতিন
বগুড়া শহরে থার্টিফাস্ট নাইটে পিকনিক করতে গিয়ে নির্মাণাধীন ভবনের তৃতীয় তলার সিঁড়ি থেকে পড়ে আবদুল মতিন (৪৩) নামে শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে।
৩১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে শহরের নাটাইপাড়া বিলপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আবদুল মতিনের বাড়ি গাবতলী উপজেলার কালাইহাটা গ্রামে। তিনি গাবতলীর ধোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ছিলেন।
বগুড়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পরিমল দাস ও ফখরুল মুলক লিমন
নামে এক শিক্ষক জানান, শিক্ষক মতিন স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে শহরের নাটাইপাড়া বিলপাড় এলাকায় নিজের ভবনে বসবাস করতেন। প্রতি বছরের মত চলতি বছরও থার্টিফাস্ট নাইট উপযাপনে ২৬ জন বিভিন্ন পেশার মানুষ পিকনিকের আয়োজন করেন। চলতি বছর টিপু মাস্টার নামে এক প্রধান শিক্ষকের নির্মাণাধীন তিনতলা ভবনের ছাদে রান্না ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
রাত ৯টার দিকে শিক্ষক আবদুল মতিন ফোনে কথা বলার সময় অরক্ষিত ও বাতি না থাকা সিঁড়ি দিয়ে তিনতলা থেকে নামার চেষ্টা করলে পা ফসকে পড়ে যান ও সিঁড়ির ফাঁকে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান।
তাকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাত ৪টার দিকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত শিক্ষক আবদুল মতিনের স্ত্রী আসিফা খানম জানান, তার স্বামীকে কেউ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে, তিনি এমনটা সন্দেহ করেন না।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, “সিঁড়ি থেকে পড়ে শিক্ষক মৃত্যুর ব্যাপারে আমরা কিছু জানি না।”
এদিকে, শুক্রবার (১ জানুয়ারি) বাদ আসর নাটাইপাড়া বিলপাড় মাঠে আবদুল মতিনের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বাস মাগরিব গ্রামের বাড়ি গাবতলীর কালাইহাটা গ্রামে দ্বিতীয় জানাজা শেষে আবদুল মতিনের মরদেহ পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
মতামত দিন