‘তক্ষকের দাম ও তক্ষক দিয়ে তৈরি ওষুধ নিয়ে ব্যাপক গুজব ছড়ানো হয়েছে। আর গুজবে বিশ্বাস করে এক শ্রেণির লোকেরা রাতারাতি ধনী হবার স্বপ্নে তক্ষক শিকারে নেমেছে’
ভোলায় পাচারের সময় অভিযান চালিয়ে তিনটি তক্ষক উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের সদস্যরা। রবিবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভোলার খেয়াঘাট ব্রিজ এলাকা থেকে তক্ষক তিনটি উদ্ধার করে কোস্টগার্ড।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার বিএন এম মেহেদী হাসান জানান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের গোয়েন্দা কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আমরা খেয়াঘাট ব্রিজ এলাকায় অবস্থান নিই। পরে মোটরসাকেলে আসা দুইজন পাচারকারী আমাদের দূর থেকে দেখে ব্যাগভর্তি তিনটি তক্ষক ফেলে পালিয়ে যায়। এ সময় তাদেরকে ধরার চেষ্টা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন - পাখির বিষ্ঠা গায়ে পড়ায়...
তিনি আরও বলেন, “উদ্ধারকৃত তক্ষক সোমবার ভোলা বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
তক্ষক সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা জোহরা মিলা ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “তক্ষক (Gecko) গিরগিটি প্রজাতির র্নিবিষ নিরীহ বন্যপ্রাণী। সাধারণত পুরাতন বাড়ির ইটের দেওয়াল, ফাঁক-ফোকড় ও বয়স্ক গাছে এরা বাস করে। কীটপতঙ্গ, টিকটিকি, ছোট পাখি ও ছোট সাপের বাচ্চা খায়। আইইউসিএনের লাল তালিকা অনুযায়ী এটি বিপন্ন বন্যপ্রাণী।”
আরও পড়ুন - বন বিভাগের সহযোগিতায় হাতি হত্যার অভিযোগ
তিনি আরও বলেন, “তক্ষকের দাম ও তক্ষক দিয়ে তৈরি ওষুধ নিয়ে ব্যাপক গুজব ছড়ানো হয়েছে। আর গুজবে বিশ্বাস করে এক শ্রেণির লোকেরা রাতারাতি ধনী হবার স্বপ্নে তক্ষক শিকারে নেমেছে। মূলত ব্যাপক নিধনই তক্ষক বিলুপ্তির প্রধান কারণ। তক্ষক দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ওষুধের উপকারীরা নিয়ে সেসব শোনা যায়, বৈজ্ঞানিকভাবে তার কোনো ভিত্তি নেই। তারপরও এই গুজবটির কারণেই প্রাণীটি হারিয়ে যেতে বসেছে।”
আরও পড়ুন - বনের পথে দ্রুতগতির গাড়ি, প্রাণ গেল ‘বিপন্ন’ বাঘডাশের
আরও পড়ুন - ‘মহাবিপন্ন’ শকুনটিকে ধরে পেটাচ্ছিল শিশুরা
আরও পড়ুন - খরগোশ শিকারিদের হাতে প্রাণ গেল মেছোবাঘের
মতামত দিন