গতবছরের ১৮ ফ্রেব্রুয়ারি সকালে বাড়ি থেকে কৌশলে কিশোরীটিকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায় প্রেমিক সাহাবুদ্দিন। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলো সে
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ডাসার থানার পূর্ব বোতলা গ্রামে নিখোঁজের ১১ মাস পর প্রেমিকের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকির নিচ থেকে কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৯ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে জেলা ডিবি পুলিশের একটি দল ওই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, জেলার কালকিনি উপজেলার ডাসার থানার পূর্ব বোতলা গ্রামের মজিদ আকনের ছেলে সাহাবুদ্দিন আকনের (২৫) সাথে একই গ্রামের দশম শ্রেণী পড়ুয়া ওই কিশোরীর (১৬) প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। এই সম্পর্কের সূত্র ধরেই ২০২০ সালের ১৮ ফ্রেব্রুয়ারি সকালে বাড়ি থেকে কৌশলে কিশোরীটিকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায় প্রেমিক সাহাবুদ্দিন। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলো সে।
এরপর ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতেই মেয়েটির পরিবার ডাসার থানায় একটি জিডি করে। এতে কোনও প্রতিকার না হওয়ায় গতবছরের ৪ মার্চ সাহাবুদ্দিনসহ পাঁচজনকে আসামি করে ডাসার থানায় একটি মামলা করে কিশোরীর মা। দীর্ঘদিন মামলার কোনও অগ্রগতি না হওয়ায় গত ১৮ ডিসেম্বর মাদারীপুর ডিবি পুলিশ মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে।
এরপর গত ৩১ ডিসেম্বর মামলার প্রধান আসামি সাহাবুদ্দিন আকন আদালতে স্বোচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে। পরবর্তীতে আদালতের দেওয়া দুইদিনের রিমান্ডে শনিবার বিকালে ডিবি পুলিশের কাছে সাহাবুদ্দিন হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততার বিষয়টি এবং লাশ গুম করার কথা স্বীকার করে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শনিবার রাত ৮টার দিকে সাহাবুদ্দিনের বাড়ির সেফটিক ট্যাংকির নিচ থেকে ভুক্তভোগীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
জেলা ডিবি পুলিশের ওসি চৌধূরী রেজাউল করিম বলেন, “রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে আসামি তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে কিছু তথ্য প্রদান করে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে আসামি সাহাবুদ্দিন আকনের বাড়িতে গিয়ে বিল্ডিংয়ের সেফটিক ট্যাংকি ভেঙে তার নিচ থেকে মেয়েটির লাশ উদ্ধার করি।”
লাশটি উদ্ধার করার পর ময়নাতদন্তের জন্যে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, নিহতের মামা অভিযোগ করে বলেছেন, মেয়েটি নিখোঁজ হওয়ার পর ডাসার থানায় প্রথমে জিডি ও পরবর্তীতে একটি মামলা দায়ের করলেও ডাসার থানার পুলিশের কাছ থেকে কোনরকম সহযোগিতা পায়নি তারা।
মতামত দিন