আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকে অ্যাপটিতে নিবন্ধন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে
আগামী ২১ জানুয়ারি থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে দেশে আসবে করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম চালান। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত এ ভ্যাকসিনটি পেতে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) নম্বর ব্যবহার করে সুরক্ষা নামক অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে বলে জানিয়েছে সরকার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ ভ্যাকসিন নিবন্ধন অ্যাপটি বিনামূলে পেতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরটির পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান। তিনি বলেছেন, অ্যাপটি তৈরির জন্য আইসিটি ডিভিশন বা অন্যকোনও সংস্থাকে অর্থপ্রদান করা হয়নি। তবে অ্যাপটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অর্থব্যয় হবে। তবে এরজন্য বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ কমে আসতে পারে যদি অ্যাপ নির্মাণকারী সংস্থাগুলো এসএমএস ও এনআইডি সত্যায়িত করার জন্য ব্যয় কমিয়ে নেয়।
অ্যাপটি ডেভেলপ করছে কারা, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আইসিটি ডিভিশন তাদের মতো ডেভেলপের কাজ করছে। তবে এরবেশি কোনও তথ্য তিনি জানেন না বলেও জানান।
প্রসঙ্গত, আইসিটি ডিভিশন ও সরকারের এক্সেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রামের (এ২আই) সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তৈরি হয়েছে এ অ্যাপটি। এতে প্রয়োজনীয় পদ্ধতিগত সুবিধাও (টেকনিক্যাল সাপোর্ট) দেবে তারা। গত সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেওয়া অনলাইনে করোনাভাইরাস টিকা পেতে নিবন্ধনের জন্য বলা হয়। একইদিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে এ অ্যাপ সংক্রান্ত অনুমোদন চাওয়া হয়।
এ২আই যুগ্ম পরিচালক ও যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক ডা. দেওয়ান মো. হুমায়ুন কবির জানান, আইসিটি ডিভিশনের আওতায় এ অ্যাপটি নির্মাণে তারা কোনও অর্থ নিচ্ছেন না। এছাড়া অ্যাপটি সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। এতে কোনও ব্যয় হবে না বলেও জানান তিনি।
এদিকে, ভ্যাকসিন নিবন্ধন অ্যাপের বিষয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে এ অ্যাপ তৈরিতে ৯০ কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে একটি তথ্য ছড়িয়ে পড়ায় তোলপাড় ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “নিবন্ধনের জন্য অ্যাপটি নির্মাণে যারা কাজ করছে তাদের কাছে দেশের বাইরের বাজার না অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সফটওয়্যার কিনে কেনা হবে, সেটি স্পষ্ট ছিল না।”
তিনি আরও বলেন, “প্রাথমিকভাবে দেওয়া হিসাবের খসড়াটি পরবর্তীতে বাতিল করে দেওয়া হয়। এ বিষয়টি হয়তো কাউকে বিভ্রান্ত করেছে।”
সুতরাং এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি, এটি নির্ভর করবে বিবিধ তহবিল থেকে পাওয়া অর্থের ওপর। তবে তা কোনওভাবেই ২৫ লাখ টাকার বেশি নয় বলেও জানান তিনি।
এর আগে রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভ্যাকসিনটি ডাউনলোডের জন্য অ্যাপটি ফি করে দেওয়া হতে পারে। এছাড়া ভ্যাকসিন প্রয়োজন এমন কেউ যদি নিবন্ধন কার্ডটি হারিয়ে ফেলেন, সেক্ষেত্রেও surakkha.gov.bd ঠিকানায় গিয়ে তা ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
মতামত দিন