বুধবার (১৩ জানুয়ারি) আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে সৎছেলে আমির হোসেন
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পারিবারিক কলহের জের ধরে ছুরিকাঘাতে সৎমাকে হত্যা করেছে আমির হোসেন (২২) নামে এক যুবক। বুধবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে সে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের লাভরাপাড়া এলাকায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আসামি আমির হোসেন উপজেলার লাভরাপাড়া এলাকার নুরু মিয়ার ছেলে। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত সেলিনা আক্তার (৪০) আড়াইহাজার উপজেলার লষ্করদি এলাকার মৃত তাহের আলীর মেয়ে এবং উপজেলার লাভরাপাড়া এলাকার নুরু মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী। সে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলো বলে জানা গিয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রূপগঞ্জের লাভরাপাড়া এলাকার বাসিন্দা নুরু মিয়া তিনবছর আগে প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর সেলিনা আক্তারকে বিয়ে করে। তবে সেলিনা আক্তারের মানসিক অসুস্থতার বিষয়টি গোপন রাখে তার পরিবার। এদিকে মানসিক অসুস্থতার কারণে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নুরু মিয়ার প্রথম সংসারের ছোটছেলে আমির হোসেনের স্ত্রী বিথী আক্তারের সঙ্গে প্রায়ই সৎমা সেলিনা আক্তারের কলহ লেগে থাকত।
গত ১১ জানুয়ারি চুলায় রান্না করা নিয়ে নিহত সেলিনা আক্তার ও বিথী আক্তারের বাক-বিতণ্ডা হয়। মঙ্গলবার রাতে একই বিষয়ে আমির হোসেনের সাথেও কথা কাটাকাটি হয় সেলিনার। একপর্যায়ে সেলিনা আক্তার ধারালো ছুরি নিয়ে ছেলের দিকে তেড়ে যায়। এসময় আমির হোসেন তার হাত থেকে ছুরি কেড়ে নিয়ে সেলিনা আক্তারকে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, সৎমাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা ঘটনায় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে আমির হোসেন। সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে পুলিশের কাছে।
ঘটনার পর থেকে সে পলাতক ছিলো। এঘটনায় নিহতের ভাই শামসুরুদ্দিন বাদি হয়ে মামলা করেছে বলেও জানান তিনি।
মতামত দিন