শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ
লালমনিরহাট সদর উপজেলার তিস্তা টোলপ্লাজা এলাকায় এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ।
শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। তবে আসামিদের জামিন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এরআগে বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই রাতেই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ ও ভিকটিম জানায়, কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙা ইউনিয়নের পশ্চিম দেবোত্তর এলাকার রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী নির্মল চন্দ্র লালমনিরহাট-রংপুর মহাসড়কের গোকুন্ডা ইউনিয়নের তিস্তা এলাকায় তিস্তা নদীর উপর নির্মিত তিস্তা সড়ক সেতু ও তিস্তা রেলওয়ে সেতু দেখানোর কথা বলে তার পূর্ব পরিচিত ওই কিশোরীকে মোবাইলে ডেকে এনে ধর্ষণ করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙা ইউনিয়নের পশ্চিম দেবোত্তর এলাকার ত্রিপদ রায়ের ছেলে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী নির্মল চন্দ্র রায়(২৮) ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের পূর্ব দালালপাড়া তিস্তা টোলপ্লাজা আফজালনগর এলাকার ট্রাক্টর চালক তৈয়ব আলীর ছেলে আতিকুল ইসলাম(২৫)।
ওসি শাহা আলম জানান, লালমনিরহাট তিস্তা টোলপ্লাজা পুলিশ চেকপোস্টে দায়িত্বরত এসআই নুর আলমকে গণধর্ষণের শিকার হওয়ার এক তরুণী অভিযোগ করলে তাৎক্ষণিকভাবে ওই পুলিশ কর্মকর্তা দুই ধর্ষককে আটক করে এবং ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিস্তা টোলপ্লাজা আফজালনগর এলাকার সেকেন্দার আলীর ছেলে রিপন(৩৫) নামে এক যুবকের গোডাউনে ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে গণর্ধষণ করে নির্মল ও তার বন্ধু আতিকুল। এ ঘটনায় মামলায় হয়েছে।
লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(এ সার্কেল) মারুফা জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “আমি ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলেছি। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ জঘন্য ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।”
মতামত দিন