এ ঘটনায় বিএসএফকে কড়া প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ঝালাঙ্গী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আবুল কালাম (৩০) নামে আরও এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) বিকালে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মোহন্ত এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত আবুল কালাম পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালঙ্গী (পকেট) এলাকার জয়নালু হকের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের ভগ্নিপতি হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে পাটগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালঙ্গী বিজিবি ও স্থানীয় লোকজন জানায়, শুক্রবার(১৫ জানুয়ারি) ভোর সকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঝালাঙ্গী সীমান্তের ৮৪৮ নম্বর মেইন পিলারের সাবপিলার ৬-৭ নম্বরের নিকট দিয়ে আবুল কালামসহ ৪/৫ জন বাংলাদেশি ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় গরু আনতে সীমান্তে গেলে ভারতীয় কোচবিহার-১৪০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ডোরাডাবরী বিএসএফ ক্যাম্পের একটি টহল দল তাদের লক্ষ্য করে গুলিতে ছোঁড়ে। এসময় আবুল কালাম গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় পালিয়ে আসে। পরে তার সঙ্গীরা তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথেই মারা যায় সে। পাটগ্রাম থানা পুলিশ আবুল কালামের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
রংপুর-৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল মোজাম্মেল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “আবুল কালাম নিহতের ঘটনায় বিএসএফকে কড়া প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে পতাকা বৈঠক করা হবে।”
উল্লেখ্য, গত ১৬ ডিসেম্বর পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম(২২) গুরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন। গত ১ মাস ৫ দিনের ব্যবধানে ওই ইউনিয়নে আবুল কালাম সহ ৩ বাংলাদেশি বিএসএফের গুলিতে নিহত হলেন। গত ১০ ডিসেম্বর আবু তালেব (৩২) নামে অপর এক গরু পারাপারকারী বিএসএফের গুলিতে নিহত হন।
মতামত দিন