২০১৭ সালের ১ নভেম্বর শামসুন্নাহার করিম (৪৬) ও তার ছেলে সাজ্জাদুল করিম শাওনকে (১৯) গলা কেটে হত্যা করা হয়
রাজধানীর কাকরাইলে তিনবছর আগে মা ও ছেলে খুনের ঘটনায় নিহত নারীর স্বামী, তার তৃতীয় স্ত্রী ও শ্যালকের ফাঁসির রায় হয়েছে।
ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম রবিবার (১৭ জানুয়ারি) আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিত তিন আসামি হলো- আব্দুল করিম, করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমিন আক্তার মুক্তা ও মুক্তার ভাই আল-আমিন ওরফে জনি।
সর্বোচ্চ সাজার পাশাপাশি তিন আসামির সবাইকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন বিচারক। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সালাউদ্দিন হাওলাদার জানান, মামলার বাদী আশরাফ আলী এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
২০১৭ সালের ১ নভেম্বর কাকরাইলের রাজমনি প্রেক্ষাগৃহের পশ্চিম দিকে রাজমনি কার সেন্টার ও বায়রা ডাটাবেইজের মাঝের পাইওনিয়র গলির ৭৯/১ নম্বর বাড়ির পঞ্চম তলায় শামসুন্নাহার করিম (৪৬) ও তার ছেলে সাজ্জাদুল করিম শাওনকে (১৯) গলা কেটে হত্যা করা হয়।
পুলিশের ভাষ্য, মুন্সীগঞ্জের শামসুন্নাহার (৪৬) ব্যবসায়ী করিমের প্রথম স্ত্রী। পরে ফরিদা নামের এক নারীকে বিয়ে করেছিলেন করিম। ফরিদার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর তিনি মুক্তাকে বিয়ে করেন।
ওই হত্যাকাণ্ডের পরদিন শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী রমনা থানায় এই হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেখানে করিম, মুক্তা ও জনিসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় করিম ও তার তৃতীয় স্ত্রী মুক্তাকে। পরে তাদের ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
এরপর ওই বছরের ৩ নভেম্বর রাতে গোপালগঞ্জ থেকে মামলার মূল আসামি জনিকে গ্রেফতার করে র্যাব। ছয়দিনের রিমান্ডের মধ্যেই ৮ নভেম্বর জনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে মুক্তাও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক মো. আলী হোসেন তিনজনের বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এরপর ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের মধ্যদিয়ে তিন আসামির বিচার শুরুর আদেশ দেয় ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত।
মতামত দিন