শিশুদের আটকে রেখে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা ও ইয়াবা বিক্রির অভিযোগে নগরীর একটি বাসা থেকে কথিত স্ত্রীসহ এসআই রোকন উদ্দিনকে আটক করেছিল র্যাব
সিলেট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) বরখাস্তকৃত উপপরিদর্শক (এসআই) রোকন উদ্দিন (৪২) ও তার কথিত স্ত্রী রিমা বেগমসহ (৪২) পাঁচজনকে ইয়াবাসহ আটক করেছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ।
আটক অন্য তিনজন হচ্ছেন- জসিম উদ্দিন (২৪), ফাহিম শাহরিয়ার (৪১) ও ফরিদ আহমদ (৪৫)।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (১৮ জানুয়ারি) বিকাল সোয়া ৪টায় সিলেটের সুবিদবাজারের চন্দ্রিমা আবাসিক এলাকার ব্লক-এর ৩নং খাঁন মঞ্জিল থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
কোতোয়ালী থানার সহকারি কমিশনার মো. সামসুদ্দিন সালেহ আহমেদ ও ওসি এসএম আবু ফরহাদের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়।
ওসি এসএম আবু ফরহাদ অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “অভিযানে তাদের কাছ থেকে ১৮৫ পিস ইয়াবা ও নগদ ৮২ হাজার ৩০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করবে।”
এর আগে ২০১৯ সালের ২৬ জানুয়ারি শিশুদের আটকে রেখে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা এবং ইয়াবা বিক্রির অভিযোগে সিলেট নগরের দাড়িয়াপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে ভুয়া স্ত্রীসহ এসআই রোকন উদ্দিনকে আটক করে র্যাব। অভিযানের সময় ওই বাসা থেকে ১২ ও ১৩ বছর বয়েসের দুই শিশু ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে নীল রংয়ের ৩৭ পিস ও গোলাপী রংয়ের ২৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, নগদ সর্বমোট ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪২২ টাকা জব্দ করা হয়।
২০১৯ সালে গ্রেফতারের পর এপিবিএনের জনৈক কর্মকর্তা জানান, দায়িত্ব পালনকালে এসআই রোকনের বিরুদ্ধে একটি গুরুদণ্ড এবং ২৮টি লঘুদণ্ড হয়। কর্মকালে তিনি ৭১টি পুরস্কারেও ভূষিত হন।
দুর্নামের কারণে ২০১৮ সালে তাকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ(এসএমপি) থেকে এপিবিএন-এ বদলি করা হয়। এপিবিএনে কর্মরত থাকা অবস্থায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল বলে জানান কোতয়ালী থানার ওসি। এসআই রোকনের গ্রেফতার নিয়ে তখন ঢাকা ট্রিবিউনে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
মতামত দিন