২০০৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের তিনটি বিভাগের কর্মকর্তারা কেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান লুটপাট ও অর্থপাচারের বিষয়টি উদঘাটনে ব্যর্থ হল সেটিও জানতে চান হাইকোর্ট
অর্থপাচার রোধ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তদারক-নিয়ন্ত্রণে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের তিনটি বিভাগের কর্মকর্তা- কর্মচারীদের তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট।
অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগে গত এক যুগে কোন কোন কর্মকর্তা দায়িত্বে ছিলেন, তাদের নাম, পদবী, ঠিকানাসহ বিস্তারিত জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
আদালত বলেছে, "২০০৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের তিনটি বিভাগের কর্মকর্তারা কেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান লুটপাট ও অর্থপাচারের বিষয়টি উদঘাটনে ব্যর্থ হলো সেটা আমাদের জানতে হবে। দায়িত্বে থেকে কাজের প্রতি অবহেলা করার আর কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না।"
বৃহস্পতিবার ( ২১ জানুয়ারি ) পিকে হালদারের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্তের অগ্রগতি জানার পর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালত ২০০৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত অর্থপাচার রোধে সংশ্লিষ্ট বিভাগের এসব কর্মকর্তার ব্যর্থতা আছে কি না, ব্যর্থ হয়ে থাকলে তার পেছনের কারণ, অর্থপাচারের বিষয়টি তারা টের পেয়েছিলেন কি না, পেয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন কি না, তাদের ইন্ধন বা যোগসাজশে অর্থপাচার হয়েছে কি না, তাও জানাতে নির্দেশ দিয়েছে।
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এসব তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
একই সাথে এ মামলায় পক্ষভুক্ত হতে পিপলস লিজিংয়ের সাময়িক অবসায়ক (প্রবেশনাল লিক্যুডেটর) মো. আসাদুজ্জামান খানের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
উলেখ্য, আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন মানিক। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
মতামত দিন