‘প্রথমে আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে ধার-দেনা করে ৪ লক্ষ টাকা উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে পৌঁছে দিয়েছি। অথচ রশিদ দেওয়ার সময় দুই লক্ষ টাকার রশিদ দিয়েছেন’
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় একটি ইটভাটায় অনিয়মের অজুহাত দিয়ে ভ্রম্যমাণ আদালতের ভয় দেখিয়ে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সুমিত সাহার বিরুদ্ধে দুই লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত ২৫ জানুয়ারি (সোমবার) কাঠালিয়ার মেসার্স ত্বহা ব্রিকস ফিল্ড নামের একটি ইটভটায় এ ঘটনা ঘটে।
ভাটার মালিক (অংশীদার) মো. শাহিন আকন অভিযোগ করেন, তার কাছ থেকে চারলক্ষ টাকা নিয়ে দুই লক্ষ টাকার রশিদ দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সুমিত সাহা।
শাহিন আকন অভিযোগ করে বলেন, “প্রথমে আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে ধার-দেনা করে ৪ লক্ষ টাকা উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে পৌঁছে দিয়েছি। অথচ রশিদ দেওয়ার সময় দুই লক্ষ টাকার রশিদ দিয়েছেন। আমি চার লক্ষ টাকা দিয়ে দুই লক্ষ টাকার রশিদ দেওয়ার বিষয়টি সহকারি কমিশনার সুমিত সাহা ও তার অফিসের নাজির মো. মাইনুল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তারা আমাকে ধমকিয়ে পাঠিয়ে দেন।”
তিনি বলেন, “বিষয়টি জানাজানি হলে আজ (২৬ জানুয়ারি, মঙ্গলবার) তিনি টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য আমাকে বারবার মোবাইলে ফোন করছেন।”
ভাটার অপর মালিক মো. এনামুল হক বলেন, “ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে ঢাকা থাকায় পার্টনার মো. শাহিনের কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা নেওয়ার বিষয়টি জেনে প্রতিবাদ করেছি। এখন ঘুষের টাকা ফেরৎ দেওয়ার জন্যে সহকারি কমিশনার (ভূমি) সুমিত সাহার নাজির মাইনুল আমার পার্টনার শাহিনকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন।”
জানতে চাইলে সহকারি কমিশনার সুমিত সাহা ৪ লক্ষ টাকা নেওেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, “অন্যকেউ টাকা নিয়েছে কিনা আমার জানা নেই, আমি দুই লক্ষ টাকা জরিমানা করেছি এবং সেটি নিয়েছি।”
তবে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বিষয়টি জেলা প্রশাসক স্যারও আমার কাছে জানতে চেয়েছেন।”
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুফল চন্দ্র গোলদার বলেন, “মেসার্স ত্বহা ব্রিকস ফিল্ডে একটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে, সেখানে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে, এর বাহিরে অন্যকিছু আমার জানা নেই।”
মতামত দিন