সোনাগাজীতে দুই গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

ফেনীর সোনাগাজীতে দুই গৃহবধূর রহস্যজনক মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি ) দুই পৃথক ঘটনায় নূর নাহার (৩০) ও মনোয়ারা বেগম (৪৫) নামের ওই দুই গৃহবধুর মৃত্যু হয়।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. সাজেদুল ইসলাম দুই গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য তাদের মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি ) সকালে চরচান্দিয়া ইউনিয়নের চরচান্দিয়া গ্রামের চান মিয়া ফরায়েজী বাড়ির মোবারক হোসেনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের (৪৫) ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের বাড়ির পুকুর পাড়ে একটি আমগাছের সাথে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। সে দুই কন্যা সন্তানের জননী। পরিবারের দাবি, সে গত কয়েক বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল।

অপরদিকে সোনাগাজী বাজারের মাছ বাজারের গলিতে হাজি নাছির ম্যানশনে নুর নাহার বেগম (৩০) নামে আরেক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি, গৃহবধূটি তার স্বামী সমির উদ্দিনের অত্যাচার নির্যাতন সইতে না পেরে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। তিনি চার সন্তানের জননী।

পুলিশ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে।

ঘটনার বিবরণ হতে জানা যায়, গত ১৩ বছর পূর্বে চরচান্দিয়া গ্রামের মফিজুর রহমানের কন্যা নূর নাহারের সাথে তার ভাই এনামুল হকের ছেলে সমির উদ্দিনের বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের জেরে সমির স্ত্রীকে প্রায় সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত।

শুধু তাই নয় গত দু-তিন বছরে সমির আরো তিনটি বিয়ে করেছে। এর মধ্যে দুজনকে তালাক দিয়েছে। এরপর গত কয়েকদিন পূর্বে আরও একটি বিয়ে করেন সমির। অধিক বিয়ের বিষয়টি নিয়ে তার স্ত্রী নূর নাহার তার উপর ক্ষুব্ধ হলে উল্টো সে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করে ও তাকে শারীরিক, মানসিক নির্যাতন করে।

মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি ) সকালে নূর নাহারের ছোট ভাই বোনের বাসায় গিয়ে তার মরদেহ দেখতে পায়। মৃত গৃহবধূর পাশেই ছিল তার সাত মাস বয়সী শিশুকন্যা।

এ বিষয়ে স্বামী সমিরের দাবি, সে তার নতুন স্ত্রীকে নিয়ে নতুন শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন। এ সময় তার প্রথম স্ত্রী নূর নাহার ডায়রিয়াজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেছে।