মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশেই এলাকাভিত্তিক ইউটিলিটি সার্ভিসের মূল্য নির্ধারণ করা হয়ে থাকে
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ও ড্যাপ রিভিউ কমিটির আহ্বায়ক মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীতে এলাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ভিত্তিতে ভবনের উচ্চতা নির্ধারণ করা হবে।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ড্যাপ বাস্তবায়নের বিষয়ে রিয়েল এস্টেট এন্ড হাউজিং এসোসিয়েশন-রিহ্যাব ও বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভলপারস এসোসিয়েশন-বিএলডিএ-এর প্রতিনিধিবৃন্দের সঙ্গে সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
ড্যাপ রিভিউ কমিটির আহ্বায়ক বলেন, “রাজধানীতে এলাকাভিত্তিক জনঘনত্ব নির্ধারণ করে জোনভিত্তিক ভবনের উচ্চতা নির্ধারণ করা হবে। শহরের কোন অঞ্চলে কত তলা বিল্ডিং হলে মানুষ সকল নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পাবে এবং ঢাকা একটি বাসযোগ্য, আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন শহরে রুপান্তরিত হবে সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।”
মন্ত্রী বলেন, মানুষের চলাচলের জন্য রাস্তা ও স্কুল-কলেজ, শপিং মল, হেলথ সেন্টার, খেলাধুলার মাঠ, ওয়াটার বডি, এবং সবুজায়নসহ অন্যান্য নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
এলাকাভিত্তিক হোল্ডিং ট্যাক্স, পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিসের চার্জ নির্ধারিত হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী প্রশ্ন তুলে বলেন, “অভিজাত এলাকায় বসবাসকারী এবং যাত্রাবাড়ী অথবা ওয়ারিতে বসবাসকারী মানুষ কেন সমান মূল্য বহন করবেন?”
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পৃথিবীর অনেক দেশেই এলাকাভিত্তিক ইউটিলিটি সার্ভিসের মূল্য নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এটি নিয়ে সমালোচনা হলেও এ বিষয়ে আমাদের একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হবে।”
মতামত দিন