বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অভিযুক্তদের নাম মামলায় অন্তর্ভুক্ত করে অবিলম্বে তাদেরকে গ্রেফতারের দাবি জানান
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মেসে হামলার ঘটনায় সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের অভিযুক্ত না করে মামলা দায়ের করায় শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আবারও মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ডা. মহসিনউদ্দিন বরিশাল কোতয়ালী থানায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মামলাটি করেন বলে জানান প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে তারা পুলিশ প্রশাসনের সাথে অবিচ্ছিন্নভাবে যোগাযোগ রেখেছে।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন যে কাওছার হোসেন শিপনের নেতৃত্বে চিহ্নিত পরিবহন শ্রমিকরা ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক সমর্থন নিয়ে এই হামলা চালিয়েছিল।
বরিশাল কোতোয়ালি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আসাদুজ্জামান জানান, মামলায় তারা রূপাতলী এলাকায় শিক্ষার্থীর মেসে হামলা চালিয়ে আহত করার জন্য অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করেননি।
তিনি বলেন, "আমরা হামলার ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি যে তাদের নাম এফআইআর-এ উদ্ধৃত করা হয়েছে কিনা এবং আক্রমণকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।"
তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হামলাকারীদের কাউকেই গ্রেফতার বা সন্দেহভাজন কাউকে আটক করা হয়নি।
এদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি মাহমুদুল ইসলাম তমাল বলেন, আমাদের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় শেষ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, "যেহেতু কোনও আসামিকে গ্রেফতার করা হয়নি তাই আমরা অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে আবার বিক্ষোভ শুরু করি।"
শুক্রবার সকালে ও বিকেলে তারা ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন যে পরিবহন শ্রমিক নেতা ও বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি কাওছার হোসেন শিপন এবং বিসিএলের (বাংলাদেশ ছাত্রলীগ) ক্যাডাররা হামলাকারী ছিল।
এরপর শুক্রবার বিকেলে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল শেষে রাস্তা অবরোধ করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অভিযুক্তদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে অবিলম্বে তাদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
উল্লেখ্য, বুধবার ভোরে সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের হামলায় রুপাতলী এলাকায় মেসের কমপক্ষে ২৫ জন ববি শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ১১ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মতামত দিন