প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের নিজস্ব (শক্তি) দিয়ে আকাশ সীমানা রক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং বাংলাদেশেই ফাইটার জেট তৈরির আশা করছি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশেই নিজস্ব যুদ্ধবিমান তৈরির আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১১ স্কোয়াড্রন এবং ২১ স্কোয়াড্রনকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড হস্তান্তরকালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, "আমরা দেশকে প্রতিযোগিতামূলক করার জন্য এয়ারফোর্স তৈরি করছি। আমাদের নিজস্ব (শক্তি) দিয়ে আকাশ সীমানা রক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং বাংলাদেশেই ফাইটার জেট তৈরির আশা করছি। "
যশোরের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান এয়ার বেস-এ এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এয়ার চিফ মার্শাল মসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১১ স্কোয়াড্রন এবং ২১ স্কোয়াড্রনের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেন।
সরকার দেশের সার্বভৌমত্ব এবং দেশ রক্ষায় কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, "আমি বিশ্বাস করি আমরা এই ক্ষেত্রে সফল হব, ইনশাল্লাহ।"
"বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন এবং এরোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়" এবং "এরোনটিক্যাল সেন্টার"-এর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান গবেষণা কাজ কার্যকরভাবে সেখানেই করা হবে।
প্রতিরক্ষা বাহিনীর সকল সদস্যদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, "লক্ষ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা জাতীয় পতাকা অর্জন করেছি। এই পতাকা আমাদের স্বাধীনতা, সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক। তাই এই পতাকার মর্যাদা রক্ষা করা সশস্ত্র বাহিনীর সকল সদস্যের পবিত্র দায়িত্ব।"
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তিনি মনে করেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা পতাকার মর্যাদা, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দায়িত্ব পালন করার জন্য যে কোন ত্যাগ স্বীকার করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকবে যা বাংলাদেশের মর্যাদাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।
"সেদিকে নজর রেখেই আপনারা নিজেদের দায়িত্ব পালন করবেন," প্রধানমন্ত্রী বলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর বিমান বাহিনী গড়ে তোলা যে প্রচেষ্টা করেছিলেন তা স্মরণ করে তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা নীতিমালা তৈরি করেছিলেন।
"এই পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করে, আমরা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে সময়োপযোগী ও আধুনিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে "ফোর্সেস গোল ২০৩০" প্রণয়ন করেছি এবং সেই অনুয়ায়ী তা বাস্তবায়ন শুরু করেছি," শেখ হাসিনা জানান।
একই সাথে তিনি বিমান বাহিনীতে আধুনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর বিভিন্ন সরঞ্জাম অন্তর্ভুক্তির সংক্ষিপ্তসার বর্ণনাও করেছেন।
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশে মুজিব বর্ষ উদযাপিত হচ্ছে একই সাথে সরকার দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য এবং জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য গ্রামীণ অঞ্চলে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, "আমরা আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করবো, এর আগে তাই নিজেকে দেশপ্রেমিক ও নির্ভীক করার প্রতিশ্রুতি নেওয়া যাক। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ 'সোনার বাংলা' হিসাবে গড়ে তোলা হবে।”
মতামত দিন