সেতু নির্মাণের প্রায় এক বছর অতিবাহিত হলেও সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। ফলে সেতুটি এলাকাবাসীর কোনো কাজেই আসছে না
বগুড়ার সোনাতলায় জনগুরুত্বপূর্ণ মধ্য দীঘলকান্দি গ্রামে সেতু নির্মিত হলেও নির্মিত হয়নি কোনো সংযোগ সড়ক। এতে সেতুটি জনগণের কোনো কাজে আসছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রণালয় ২০২০ সালের প্রথম দিকে প্রায় ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের মধ্য দীঘলকান্দি গ্রামে ভেলুরপাড়া-সৈয়দ আহম্মদ কলেজ ষ্টেশন সড়কের সংযোগ স্থানে সেতু নির্মাণ করে। সেতু নির্মাণের প্রায় এক বছর অতিবাহিত হলেও সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি।
এছাড়া যে সড়কে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে, সেটি নিচু হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে ডুবে যায়। তখন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। সেতু দিয়ে চলাচল না করায় গ্রামবাসীদের অনেকে এর উপর গোবর শুকিয়ে জ্বালানি তৈরি করেন। খড় ও খড়ি শুকানো হয়ে থাকে।
এলাকাবাসী জানান, সড়কটি মধ্য দীঘলকান্দি থেকে ভেলুরপাড়ার জোড়গাছায় গিয়ে মিলিত হয়েছে। ওই এলাকার প্রায় ৮৫ ভাগ মানুষ সরাসরি কৃষি কাজের সাথে জড়িত। রাস্তাটিতে মাটি কাটাসহ প্রশস্ত ও উঁচু করা হলে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য খুব সহজেই বাজারজাত করতে পারবেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় জোড়গাছা ইউপি চেয়ারম্যান রোস্তম আলী মন্ডল জানান, "এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ওই স্থানে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মাণের পর স্থানীয় লোকজন মাটি দিতে বাধা দেওয়ায় তখন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি করা সম্ভব হয়নি।"
সোনাতলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সংযোগ সড়কে মাটি কাটা হলেও গত বছরে চার দফা বন্যায় তা ধ্বসে যায়। আগামীতে ৪০ দিনের কর্মসূচির আওতায় এনে ওই সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ ও উঁচু করা হবে। এতে দীঘলকান্দিসহ আশপাশের গ্রামের মানুষের চলাচলের পথ সুগম হবে।
মতামত দিন