Thursday, April 25, 2024

সেকশন

English
Dhaka Tribune

রাজশাহীতে ও চট্টগ্রামের গুদাম থেকে ৩৫ হাজার লিটার তেল জব্দ

অবৈধভাবে ভোজ্যতেল মজুত করে রাখায় গুদাম মালিকদের জরিমানা করা হয়েছে

আপডেট : ০৯ মে ২০২২, ১১:১৬ পিএম

চলমান সংকটের মধ্যে রাজশাহী ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩৫ হাজার লিটার ভোজ্যতেল জব্দ করা হয়েছে।

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর বাজারের একটি গোডাউন থেকে ২০ হাজার ৪০০ লিটার ভোজ্যতেল জব্দ করেছে পুলিশ। এ সময় আটক করা হয়েছে গুদামের মালিক ও ব্যবসায়ী স্বপন সাজিকে আটক করে গুদামটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

জব্দ করা তেলের মধ্যে ১৯ হাজার ৩৮০ লিটার সয়াবিন ও ১ হাজার ২০ লিটার সরিষার তেল।

রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম জানান, তাহেরপুর বাজারে একটি সরকারি গোডাউন রয়েছে যেটি স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ভাড়া নিয়ে ব্যবহার করেন। ওই গোডাউনে টিসিবির পণ্য থাকতে পারে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (৯ মে) সন্ধ্যায় পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে ১০০ ড্রাম তেল জব্দ করে।

রাজশাহীতে ২০ হাজার লিটারেরও বেশি ভোজ্য তেল উদ্ধার করেছে পুলিশ ঢাকা ট্রিবিউন

ইফতে খায়ের আলম জানান, ১০০ ড্রাম তেলের মধ্যে ৯৫টি ড্রামে ২০৪ লিটার করে মোট ১৯ হাজার ৩৮০ লিটার সয়াবিন তেল পাওয়া গেছে। আর অন্য পাঁচটি ড্রামে ১ হাজার ২০ লিটার সরিষার তেল পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর (ডিএনসিআরপি) চট্টগ্রামের এক মুদি বিক্রেতার তিনটি গুদাম থেকে ১৫ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়েছে।

বাজারের তেল সংকটের সময় দোকানদাররা বোতলজাত সয়াবিন তেলগুলো গুদামে তালাবদ্ধ করে রেখেছিল বলে ডিএনসিআরপি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

সোমবার (৯ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী বাজারের বিলি লেনে সিরাজ সওদাগরের একটি দোকানে অভিযান চালায় ডিএনসিআরপির একটি দল।

ডিএনসিআরপি চট্টগ্রামের বিভাগীয় উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা সিরাজ সওদাগরের মুদি দোকানে অভিযান পরিচালনা করি। দোকানে বিক্রির জন্য অল্প পরিমাণ তেল রাখা হলেও একে একে তার তিনটি গুদামে গেলে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১৫ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ ও বাজেয়াপ্ত করা হয়।”

নতুন দাম ঘোষণার আগেই তেলগুলো কেনা ও মজুদ করা হয়েছে বলে ওই দোকানদার নিশ্চিত করেছেন।

চট্টগ্রামে ১৫ হাজার লিটার তেল মজুত করে রেখেছিলেন এক মুদি দোকানি ঢাকা ট্রিবিউন

মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ জানান, ঈদ-উল-ফিতরের আগে যে দামে তেল কেনা হয়েছে সে দামেই দোকানে বিক্রি হচ্ছে। তবে, অবৈধভাবে তেল মজুদের দায়ে সিরাজ সওদাগরকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এদিকে, গত দুই দিনে চট্টগ্রামের বিভিন্ন আড়ত থেকে প্রায় ১৮ হাজার লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে, রবিবার দুপুরে ষোলশহরের কর্ণফুলী মার্কেটের মেসার্স খাজা স্টোরে অভিযান চালিয়ে একটি গোপন ঘর থেকে ১ হাজার ৫০ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল উদ্ধার করে ডিএনসিআরপি।

এছাড়াও, রবিবার দিবাগত রাতে ফটিকছড়ি উপজেলার বাগানবাজার মহকুমার দক্ষিণ গজারিয়া গ্রামের মুদি আক্তার হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৩২৮ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

About

Popular Links