২০১৫ সালে নরসিংদী সদর উপজেলায় ইলমা বেগম নামের ১১ বছর বয়সী এক শিশুকে তার বাবা-মা ও স্বজনরা ৩০ লাখ টাকার লোভে হত্যার অনুমতি দেয় বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সোমবার (৯ মার্চ) সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উপমহাপরিদর্শক (সংঘবদ্ধ অপরাধ বিভাগ) ইমতিয়াজ আহমেদ এই শিশুহত্যার কথা জানান। নিহত ইলমা ছয় ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিল।
হত্যার পর পলাতক থাকা আসামি ইলমার ফুপাতো ভাই মাসুম মিয়াকে গ্রেফতারের পর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে সিআইডি এ তথ্য প্রকাশ করে।
মাসুমের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, এলাকায় মো. শাহজাহান ভূঁইয়া ও বাচ্চু মিয়ার নেতৃত্বে দুটি গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। ২০১৫ সালের ১ মার্চ শাহজাহানের বাড়িতে তার প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য একটি বৈঠক হয়। সেখানে শাহজাহান ইলমার বাবা আবদুল মোতালেবকে তার ছোট মেয়েকে হত্যার জন্য ৩০ লাখ টাকা দেওয়ার লোভ দেখান। অর্থের লোভে মোতালেব, তার স্ত্রী মঙ্গোলি বেগম এবং আত্মীয়-স্বজনরা শিশুটিকে হত্যায় রাজি হন।
২০১৫ সালের ২৭ মার্চ ইলমা স্থানীয় একটি দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিল। এসময় পরিকল্পনা অনুযায়ী ইলমার দুলাভাই বাবলু ও ফুপাতো ভাই মাসুমের নেতৃত্বে সাতজনের একটি দল তার মাথায় আঘাত করে। পরে তারা ইট দিয়ে আঘাত করে ইলমার মুখ ছিন্নভিন্ন করে দেয় এবং গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
তবে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মোতালেবকে ৩০ লাখ টাকার পুরোটা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে সিআইডি।