দেশে করোনাভাইরাস (কোভিক-১৯) ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখনও কোনো রকমের সিদ্ধান্ত নেয়নি।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।
বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে বলে একটি মহল গুজব ছড়াচ্ছে। এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।”
এর আগে, মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে কমপক্ষে দুই সপ্তাহের জন্য স্কুল ও কলেজ বন্ধ করে দিতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমরা মনে করি স্কুল ও কলেজসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া দরকার। প্রথম দিকে অন্তত দুই সপ্তাহ বন্ধ রাখা প্রয়োজন এবং পরে অবস্থা দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।”
আইইডিসিআর রাজধানীতে তিন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়ার পর থেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা চলছে। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সোমবার বলেছিলেন, পরিস্থিতি এখনও এমন পর্যায়ে পৌঁছেনি যে স্কুল ও কলেজ বন্ধ করে দিতে হবে।
অন্যদিকে, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সোমবার জানান যে বিশেষজ্ঞদের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি রাজধানীর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) এক অনুষ্ঠানে বলেন, “করোনাভাইরাস সম্পর্কে জাতীয় পর্যায়ে বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের মতামত অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার মতো এখনও পরিস্থিতি হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রযোজনীয় নির্দেশনা প্রেরণ করা হচ্ছে।”