বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা থেকে এক স্কুল শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২০ মার্চ) দুপুরে উপজেলার শালগ্রামের বাড়ির দোতলার ঘর থেকে মোছা. শ্রাবণী (১৪) নামে নবম শ্রেণির ছাত্রীর লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় স্কুলছাত্রীর লাশটি ওড়না দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকলেও তার পা দুটি ঘরের মেঝেতে স্পর্শ করা ছিল।
পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, শ্রাবণী আদমদীঘি উপজেলার শালগ্রামের সৌদি প্রবাসী ফারুক হোসেনের মেয়ে। সে আদমদীঘি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে নবম শ্রেণিতে পড়তো। লেখাপড়া ও সাংসারিক নানা বিষয় নিয়ে মায়ের সাথে শ্রাবণীর অভিমান চলছিল। বৃহস্পতিবার রাতে খাবার পর সে মাটির দোতলার ঘরে ঘুমাতে যায়। পরে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে নাস্তার জন্য ডাকতে গিয়ে ঘরে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া লাশ দেখতে পাওয়া যায়। তবে তার দুই পা মেঝের সাথে লাগানো ছিল। ঘরে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। তাতে লেখা আছে, “মা তুমি ভাল থেক, তুমি বলো আমার মুখ দেখলে ঘৃণা লাগে তাই আমার মুখ আর কোনদিন তোমাকে দেখাবো না”।
আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) আবদুর রাজ্জাক জানান, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে ওই ছাত্রী মায়ের সাথে অভিমান করে চিরকুট লিখে রেখে আত্মহত্যা করেছে। এরপরও নিশ্চিত হতে লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।