গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩৫ জন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৬ এপ্রিল) নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়িন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।
ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআর-এর পরিচালক ড. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, "গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৫ জন নারী ও ৩০ জন পুরুষ রয়েছেন। এ নিয়ে সারাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১২৩ জনে এবং মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২ জনে দাঁড়ালো। এছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২ জনের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে।
আইইডিসিআর পরিচালক আরও বলেন, "এর মধ্যে ঢাকায় সর্বোচ্চ ৬৪ ও নারায়ণগঞ্জে ২৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০৭ জন রোগী এবং কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১৩ হাজার ৩২০ জন।"
এর আগে সোমবার সোমবার (৬ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় রাজধানীর মহাখালীর বিপিএস ভবনের সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিদের সাথে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত এক জরুরি সভায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ২৯ ও মৃতের সংখ্যা ৪ বলে জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এ প্রসঙ্গে আইইডিসিআর এর পক্ষ থেকে বলা হয়, "বানানজনিত একটা ভুলের কারণে মৃতের সংখ্যার তারতম্য দেখা দেয়। মন্ত্রী যখন বক্তব্য রাখেন তখন মৃতের সংখ্যা ৪ জন বলেই তাকে জানানো হয়। পরে দেখা যায় মৃতের সংখ্যা ৩, একই লোকের দুই ধরণের বানানের জন্য প্রাথমিকভাবে ৪ বলা হয়েছিল। এছাড়াও, মন্ত্রীর বক্তব্যের পর আরও ৬ জনের করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এখানে বিভ্রান্তির কোনও সুযোগ নেই। মৃতের সংখ্যা লুকানো হচ্ছে না।"
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস সংক্রান্ত জরুরি ও সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, "এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিদিনই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তাই আগামী ৩০ দিন জাতির জন্য সংকটপূর্ণ। তবে, সাবধানে থাকলে জাতিকে রক্ষা করা সম্ভব। কোনভাবেই আগামী ১৫ দিন আমরা যেন কেউই অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হই। আর একান্তই যদি জরুরি কাজে বের হতেই হয় তাহলে মুখে মাস্ক ব্যাবহার না করে কেউই ঘরের বাইরে বের নাই হই সে ব্যাপারে আমাদের সবারই সচেতন থাকতে হবে।"
এ সময় চিকিৎসকদের উদ্দেশে জাহিদ মালেক বলেন, "এখন আর বসে থাকার সময় নেই। সবাই মিলে একসাথে কাজ করলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিহত করা সম্ভব হবে।"
এছাড়া চিকিৎসকদের আর্থিক প্রণোদনা দেয়ার ব্যপারে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন বলেও জানান তিনি।