করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কক্সবাজার জেলাকে লক ডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (৮ এপ্রিল) বিকালে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন কক্সবাজারকে লক ডাউন ঘোষণা করেন।
তার এ ঘোষণার পর এখন থেকে কোনো ব্যক্তি কক্সবাজারে প্রবেশ করতে বা কক্সবাজার থেকে বের হতে পারবেন না। এ আদেশ অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
লক ডাউন বিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নিজস্ব ফেসবুক পেইজে একটি পোস্ট দেওয়া হয়েছে। পোস্টে বলা হয়- “জনস্বার্থে কক্সবাজারকে লকডাউন করা হলো। এখন থেকে এ জেলায় সকল আগমন ও বহির্গমন নিষিদ্ধ। আদেশ অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা।”
এদিকে, কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস (কেভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে কক্সবাজার জেলার ৮ উপজেলায় ২২৭টি আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, বাথরুম ব্যবস্থাসহ ২২৭টি আইসোলেশন ইউনিটে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স, চিকিৎসা সামগ্রী মাস্ক, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) মজুদ রাখা হয়েছে।
এছাড়াও মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে নিয়োজিত আন্তর্জাতিক সংস্থার ৮টি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের সমন্বয়ে ৬৬ শয্যাবিশিষ্ট আইসোলেশন ইউনিট, বেড, ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ও জরুরি বিভাগের প্রধান ডা. মোহাম্মদ শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী জানান, হাসপাতাল সংলগ্ন পুরাতন মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসের চতুর্থ তলায় আইসোলেশন ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে।
৩ শিফটে আইসোলেশন ইউনিটের প্রতি শিফটে ১ ডাক্তার, ৪ নার্স, ১ জন করে ক্লিনার, নিরাপত্তাকর্মী ও ওয়ার্ডবয় রয়েছে। সর্বশেষ পাওয়া খবরে কক্সবাজার জেলায় মোট ৫১৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে এবং ২৩ জনকে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
এছাড়া জেলার ২৯টি বেসরকারি হাসপাতালে করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য ১০৬টি বেড প্রস্তত রাখা হয়েছে। কর্মরত আছেন ১০৭ ডাক্তার ও ৮০ জন নার্স। কেভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির জরুরি চিকিৎসা, স্থানান্তরের জন্য ১১টি পৃথক অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।