বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম খুনি বরখাস্ত হওয়া সেনা কর্মকর্তা আব্দুল মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
বৃহস্পতিবার (০৯ এপ্রিল) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান ঢাকা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে কারাকর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রাণভিক্ষা চেয়ে বুধবার রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন আব্দুল মাজেদ।
বুধবার বিকেল ৫টার দিকে মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানা কারা কর্তৃপক্ষের হাতে পৌঁছায়। পরোয়ানাটি তাকে পড়ে শোনানো হয়।
এদিন সকালেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (অব.) আব্দুল মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এম হেলাল চৌধুরী। আদালত তাকে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোরও নির্দেশ দেন।
এর আগে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল (সিটিটিসি) ইউনিটের একটি দল সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর মিরপুর থেকে মাজেদকে গ্রেফতার করে।
মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হলে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এ এম জুলফিকার হায়াত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় বেঁচে যান।
বঙ্গবন্ধুর পাঁচ হত্যাকারী সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ ও মুহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসি ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে কার্যকর হয়।
আরেক খুনি আজিজ পাশা ২০০১ সালে জিম্বাবুয়েতে মারা যান।
বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার কারণে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক ১২ সেনা কর্মকর্তার ফাঁসির রায় ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বহাল রাখে।
পলাতক আসামিরা হলেন- সাবেক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার আবদুর রশীদ, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, শরিফুল হক ডালিম, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলে উদ্দিন।