নারায়ণগঞ্জে সর্দি জ্বর, ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যাওয়া গিটারিস্ট হিরু লিসান (৩০) করোনাভাইরাসেই আক্রান্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন জেলা করোনা ফোকাল পারসন এবং সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম।
তিনি জানান, “মৃত্যুর পর তার নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর এ পাঠানো হয়। পরে তারা গতকাল আমাদের করোনাভাইরাস পজেটিভ এর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।”
গত সোমবার (৭ এপ্রিল) রাত ১টায় শহরের দেওভোগ চেয়ারম্যান বাড়ি (কৃষ্ণচূড়া মোড়) এলাকায় সর্দিজ্বর, শ্বাসকষ্টে মৃত্যু হয় গিটারিস্ট হিরু লিসানের। পরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে বাড়ির সামনে ১২ঘন্টা তার মরদেহ ফেলে রাখার পর জেলা সিভিল সার্জন ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে দাফন করা হয়।
হিরুর বড় ভাই আবু নাঈম জানান, গত ২৬ মার্চ থেকে জ্বর, ঠাণ্ডা, গলা ব্যাথা ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। নারায়ণগঞ্জসহ ঢাকার বেশকজন চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিলেও তারা কেউ করোনাভাইরাসের পরীক্ষার ব্যাপারে কিছু বলেননি। আমরাই আইইডিসিআর এর হটলাইনে যোগাযোগের চেষ্টা করি। প্রায় দুদিন চেষ্টা করেও করোনাভাইরাসের টেস্টের ব্যবস্থা করতে পারিনি। সেদিন রাতে হিরুর অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের লোকজন তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাই। কিন্তু প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া এলাকা থেকে অ্যাম্বুলেন্স বের হতে দেওয়া যাবে না এমন অজুহাতে প্রায় ১ ঘন্টা অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখে এলাকাবাসী। কিন্তু প্রশাসনের অনুমতি নিতে নিতেই অ্যাম্বুলেন্সেই হিরুর মৃত্যু হয়।