নাটোরের লালপুর উপজেলার কদিমচিলান এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও লেগুনার সংঘর্ষে ১৫ জন নিহতের ঘটনায় দূর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটির মালিক ও চালকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
লালপুর থানার এএসআই ইউসুফ আলী বাদী হয়ে গত রাতেই মামলাটি দায়ের করেন। তবে তদন্তের স্বার্থে আসামীদের নাম প্রকাশ করতে চাননি পুলিশ।
এদিকে দূর্ঘটনায় নিহত ১৫ জনের মধ্যে ১৪ জনের মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
লালপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম জুয়েল বিষযটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে অজ্ঞাত ১টি মৃতদেহের ময়না তদন্তের জন্য রবিবার (২৬ আগস্ট) সকালে নাটোর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
অপরদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের যে আর্থিক সহযোগীতার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল তা প্রদানে প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন নাটোরের জেলা প্রশাসক জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন।
লালপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম জুয়েল জানান, ‘দূর্ঘটনার পর রাত ১১টা ৪০ মিনিটে লালপুর থানার এএসআই ইউসুফ আলী বাদী হয়ে দূর্ঘটনাকবলিত দুটি গাড়ির মালিক ও চালকসহ মোট ৭জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা করা হয়েছে, বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি জিএম শামসুন নূরকে’।
ওসি জিএম শামসুন নূর জানান, ‘মামলায় দূর্ঘটনাকবলিত দুটি গাড়ির মালিক ও চালকের নাম রয়েছে’। তবে তদন্তের স্বার্থে কারো নাম প্রকাশ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি। আসামীদের ধরতে পুলিশের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।