করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা ডায়ালাইসিস করতে রাজি না হওয়ায় সরকারি হাসপাতালের কোয়ারেন্টিনে থাকা ভারতফেরত এক ব্যক্তি মারা গেছেন। কিডনি রোগের চিকিৎসা করে সম্প্রতি ভারত থেকে ফেরার পর যশোর জেনারেল হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল তাকে।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) ভোরে যশোর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ওবায়দুল কাদির উজ্জ্বল তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত ব্যক্তির নাম আলমগীর কবীর (৪৫)। তিনি যশোরের চৌগাছা উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ১০ এপ্রিল আলমগীর কবীর ভারত থেকে থেকে ফিরলে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। ওইদিনই তার ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয়। কিন্তু যশোর জেনারেল হাসপাতালে ডায়ালাইসিসের ব্যবস্থা না থাকায় শহরের বেসরকারি হাসপাতালগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেন জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
কিন্তু রোগীর করোনাভাইরাস সংক্রমণের টেস্ট রিপোর্ট ছাড়া যশোরের কোনো বেসরকারি হাসপাতাল ডায়ালসিস করাতে রাজি হয়নি। যার পরিপ্রেক্ষিতে তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য খুলনায় পাঠানো হয়। ১৫ এপ্রিল রাতে খুলনা থেকে পাঠানো রিপোর্টে তার শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পাওয়া যায়নি।
এবার কোভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে জেনারেল হাসপাতাল থেকে যশোরের ইবনে সিনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে তার ডায়ালাইসিস করাতে রাজি হয়। কিন্তু ততক্ষণে ওই রোগী মারা যান।
এ বিষয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আরিফ আহমেদ ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, করোনাভাইরাসের উপসর্গ না থাকলেও সরকারি নির্দেশনার কারণে তাকে হাসপাতালের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। কিডনির অসুখ থাকায় তার ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু যশোরের কোনো বেসরকারি হাসপাতালকে রাজি করানো যায়নি। বুধবার রাতে পাওয়া রিপোর্টে তিনি করোনা নেগেটিভ বলে জানা যায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার ভোরেই তিনি মারা যান।
এ বিষয়ে জানতে ইবনে সিনা হাসপাতালের ব্যবস্থাপকের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।