বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের নলকার মোড়ে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন মিজানুর রহমান নামে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জের ২৫০ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) তাকে উদ্ধার করে কামারখন্দ থানা পুলিশের এএসআই সঞ্জয় সাহা। ভর্তির পর পরই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে তাকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখেছেন কর্তৃপক্ষ। মিজানুর রহমানের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায়।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল ডা. ফরিদুল ইসলাম বলেন, “রোগীর জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। আঘাতের কারণে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। শনিবার (১৮ এপ্রিল) সিভিল সার্জন অফিসের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠনো করা হবে।”
হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের ইনচার্জ শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মনোয়ার আলী বলেন, “জ্বর, শ্বাসকষ্টসহ আঘাত থাকায় শারীরিকভাবে বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছেন রোগীটি। এখানে ভেন্টিলেটর ও আইসিইউ সুবিধা নেই। তাই নমুনা সংগ্রহের পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে অন্যত্র পাঠাতে হতে পারে।”
সিভিল সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, “রোগীর বিষয়টি শুনেছি। শনিবার নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হবে।”
এ বিষয়ে কামারখন্দ থানার ওসি হাবিবুল ইসলাম বলেন, “শ্রমিক সংগ্রহের উদ্দেশে তিনি সিলেট থেকে সদর উপজেলার শিয়ালকোল আসেন। সেখানে মোবাইল ও টাকাপয়সা হারিয়ে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন। মানবিক কারণে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। হাসপাতালে পাঠানোর সময় তার শরীরে তেমন আঘাতের চিহ্ন ছিল না।”