গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সরকারি ত্রাণবঞ্চিত প্রায় ২শ’ হতদরিদ্র মানুষ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।
সোমবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট সড়কের মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড় বাসট্যান্ডে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
খবর পেয়ে জলিরপাড় ইউপি চেয়ারম্যান অখিল বৈরাগী, সাবেক চেয়ারম্যান মিহির রায়, জলিরপাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব মজুমদার ও জলিরপাড় ইউপির ৭নং ওয়ার্ড মেম্বর সুভাষ বৈদ্য গিয়ে বঞ্চিতদের ত্রাণ দেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।
ত্রাণবঞ্চিত জলিপাড় ৭ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ জলিরপাড় গ্রামের বাসিন্দা নাজমা বেগম বলেন, “আমাদের এলাকার ২শ’ পরিবার খুবই গরিব। তারা ভ্যান চালিয়ে ও দিনমজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের কাজ নেই, হাতে টাকা-পয়সাও নেই। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কোনরকমে একবেলা আধবেলা খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছি।”
ত্রাণবঞ্চিত জলিপাড় ৭ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণজলিরপাড় গ্রামের বাসিন্দা ফজর আলী শেখ, বাদল দাস বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান অখিল বৈরাগী সরকারি ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি করেছে। তিনি তার দরিদ্র ও স্বচ্ছল সমর্থকদের ত্রাণ দিয়েছেন। তার সমর্থকরা সরকারি ত্রাণ, এমপি’র ব্যক্তিগত ত্রাণ, আওয়ামী লীগের ত্রাণসহ ৩/৪বার ত্রাণ পেয়েছেন। কিন্তু আমরা একবারও ত্রাণ পাইনি। অবশেষে বাধ্য হয়েই পথে নেমেছি।”
এদিকে, জলিরপাড় ইউপি চেয়ারম্যান ত্রাণবঞ্চিতদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি ত্রাণ বিতরণে স্বজনপ্রীতি করি না। ওই এলাকায় আমরা সামান্য কিছু ত্রাণ দিয়েছি। তারপরও যারা পায়নি, তাদের তালিকা করে ত্রাণ দেবো।”
তার এই প্রতিশ্রুতির পর আন্দোলনরতরা ১৫ মিনিটের মধ্যেই সড়কে থেকে চলে যান।