সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রিয়াংকা পালের আহ্বানে সাড়া দিয়ে কৃষকের গোলায় পাকা বোরো ধান তুলে দিতে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ১৫ শতাধিক মানুষ হাওরে নেমেছেন।
মঙ্গলবার(২১ এপ্রিল) সকাল থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপজেলায় দশ পয়েন্টে আটটি দলে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন হাওরে কাস্তে (কাঁচি) হাতে ধান কাটায় নেমে পড়েন।
দিনব্যাপী উপজেলার বৃহৎ পাগনার, হালি ও মহালিয়া হাওরে উপজেলার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, আনসার সদস্য, নৌ পরিবহন শ্রমিক, বালু পাথর শ্রমিকরা ধান কাটায় অংশ নেন।
বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রিয়াংকা পাল বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন ধান কাটায় অংশ নিয়েছেন। আশা করি, আগাম বন্যা আসার আগেই ধান কেটে কৃষকের গোলায় তুলে দেওয়া সম্ভব হবে।”
তিনি আরও বলেন, “মঙ্গলবার সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মো. মশিউর রহমান ও সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ সরেজমিনে জামালগঞ্জ এসে উপজেলার বিভিন্ন হাওরের ধান কাটা কার্যক্রম তদারকি করে গেছেন। এতে করে ধান কাটায় অংশ নেয়া বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও ধান কাটা শ্রমিকরা অনেকটা উৎসাহিত হয়েছেন।”
প্রসঙ্গত, মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে চলতি বোরো মৌসুমে জেলার অন্যান্য উপজেলার ন্যায় হাওরের ধান কাটা (ধাওয়ালী) শ্রমিক সংকট দেখা দিলে জামালগঞ্জের কৃষকদের মধ্যে আগাম বন্যা ও অকাল বৃষ্টির আগেই বোরো ধান কেটে ঘরে গোলায় তোলা নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে ইউএনও তার অফিসিয়াল ও ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজনকে কৃষকদের ধান কেটে দেয়ার আহ্বান জানান।