করোনাভাইরাসের এই ক্রান্তিকালে কর্মহীন মানুষের সহায়তার জন্য শেরপুরে এবার এগিয়ে এলো পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী।
শহরের কালিরবাজার এলাকার এক বৈদ্যুতিক মিস্ত্রির মেয়ে ও স্থানীয় ইউনাইটেড স্কুলের শিক্ষার্থী দিপালী ঘোষ টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে পহেলা বৈশাখে জামা কেনার জন্য জমানো ১ হাজার ৮৭০ টাকা জেলা প্রশাসকের হাতে তুলে দেয়।
লকডাউনের কারণে দেকানপাট বন্ধ থাকায় বৈশাখী জামা কেনা যেহেতু হয়নি, তাই জমানো টাকাগুলো করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তার জন্য দান করে সে।
এদিকে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেত্রী সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা উম্মে কুলছুম রেনু জেলা প্রশাসকের করোনা সহায়তা তহবিলে দুই লাখ টাকা দান করেছেন।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে দুদফায় তাকে ২০ লাখ টাকা এফডিআর হিসেবে অনুদান দেওয়া হয়। সেই অনুদানের টাকার লভ্যাংশের পুরোটা তিনি করোনা সহায়তা তহবিলে দান করেছেন।
এছাড়া জেলা সহায়তা তহবিলে নিজের বেতনের ৫৬ হাজার টাকা দান করেছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান। শুক্রবার দুপুরে জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুবের হাতে এই অর্থ তুলে দেন তিনি।