দেশে রবিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে সোমবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে আরও সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫২ জনে দাঁড়িয়েছে।
পাশাপাশি একই সময়ে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ৪৯৭ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯১৩ জনে।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ১৯২টি নমুনা সংগ্রহ করা হলেও তিন হাজার ৮১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে ৪৯৭ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। ফলে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৯১৩ জনে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও সাতজন। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫২ জনে। অন্যদিকে, একই সময়ে আরও ৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ফলে আক্রান্ত হওয়ার পর মোট সুস্থ হয়েছেন ১৩১ জন।
তিনি জানান, নতুন মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে ছয়জন পুরুষ ও একজন নারী। এদেরমধ্যে একটি শিশুও রয়েছে। সাতজনের মধ্যে পাঁচজন ঢাকার এবং বাকি দুজনের মধ্যে একজন সিলেট ও একজন রাজশাহীর।
তিনি আরও জানান, দেশের এখনও চারটি জেলা-রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, নাটোর এবং সাতক্ষীরায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী পাওয়া।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার (২৬ এপ্রিল) পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ লাখ দুই হাজার ৮৮৭ জন। একই সময়ে ভাইরাসটির সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭ হাজার ৮০ জনে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়া নভেল করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।
গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়।