সারাদেশের সরকারি ও বেসরকারি উভয় হাসপাতালে নভেল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে গড়ে প্রতি ঘণ্টায় দুজন চিকিৎসক এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) নিয়মিত ব্রিফিংয়ে চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশন (বিডিএফ) এ তথ্য জানায়।
সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক ডা. নিরুপম দাস জানান, “মঙ্গলবার ভোর ৫টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৪৯ জন চিকিৎসকের করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট চিকিৎসকের সংখ্যা ৪২২ জনে পৌঁছেছে।”
রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার সময় সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে শুধু ঢাকাতেই ৩০৮ জন চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, যা উদ্বেগজনক। তাদের মধ্যে ১৯১ জন সরকারি হাসপাতালের, ৯৭ জন বেসরকারি হাসপাতালের এবং ২০ জন অন্যান্য জায়গা থেকে আক্রান্ত হয়েছেন।
ঢাকার পর চিকিৎসকদের জন্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমিত বিভাগ হচ্ছে ময়মনসিংহ, যেখানে ৪৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া চট্টগ্রামে ১৪, খুলনায় ১৩, বরিশালে ১০, সিলেটে ৬, রংপুরে ৫ জন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত প্রতি ১০ হাজার লোকের জন্য দেশে ছয়জন চিকিৎসক, নার্স এবং মিডওয়াইফ ছিল।
করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসায় নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে শনিবার ডা. নিরুপম বলেন, চিকিৎসকের নিরাপত্তার জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই), মানসম্পন্ন গাউন, মাস্ক, গ্লাভস এবং চশমার বিকল্প নেই।
সারাদেশে বিডিএফের ৯০ হাজার সদস্য রয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৫ জনে। এছাড়া এ পর্যন্ত মোট ৬ হাজার ৪৬২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সরকার।