দিনাজপুরের বিরামপুর সীমান্ত থেকে ইয়াবাসহ শাপলা বেগম (২৮) নামের এক নারীকে গ্রেফতার করে পুলিশে দিয়েছে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দাউদপুর ক্যাম্পের সদস্যরা। গ্রেফতারের পর পুলিশকে ফাঁকি দিতে কাশতে থাকেন তিনি। এ সময় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে ওই নারীর নমুনা সংগ্রহ করে আইসোলেশনে পাঠানো হয়। টেস্টের ফল নেগেটিভ আসলে ধরা পড়ে-জামিন পেতে করোনা আক্রান্তের অভিনয় করেছিলেন তিনি!
বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) রাতে রংপুর মেডিকেলে পরীক্ষার পর শাপলা বেগমের নমুনা ফলাফল নেগেটিভ আসে বলে জানান বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সোলায়মান হোসেন মেহেদী।
শাপলা বেগম বগুড়ার গাবতলী উপজেলার সুলতাপুর গ্রামের জাকিরুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি বগুড়ার একতা ক্লিনিকের আয়া হিসেবে কাজ করতেন।
বিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মতিয়ার রহমান জানান, শুক্রবার (১ মে) সকালে শাপলা বেগমকে দিনাজপুর আদালতে পাঠানো হলে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন পুলিশ সদস্য জানান, জামিনের সুবিধা পেতেই শাপলা বেগম গলাব্যথা উল্লেখ করে ইচ্ছাকৃতভাবে কাশি দিচ্ছিলেন।
বিরামপুরের দাউদপুর বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার হেলাল উদ্দিন জানান, শাপলা বেগমকে গত ২৩ মার্চ সন্ধ্যায় ১৪৫টি ইয়াবাসহ কাটলা সীমান্তে আটক করা হয়। ঘটনায় দাউদপুর ক্যাম্পের নায়েক খোরশেদ আলম বাদী হয়ে মামলা করেন।
বিরামপুর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) মিথুন সরকার জানান, থানায় ওই নারী জ্বর ও গলা ব্যথার কথা উল্লেখ করে কাশতে থাকেন। পরে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে বিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।