একজন ব্যক্তির কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষার ফল ‘নেগেটিভ’ এলেও সেটি পরদিনই পরিবর্তিত হয়ে ‘পজেটিভ’ হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ নাসিমা সুলতানা শুক্রবার (১ মে) নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে একথা জানান।ডাঃ নাসিমা বলেন, “সামাজিক সংক্রমণ ইতোমধ্যেই আমাদের দেশে ছড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে। আর তাই কেউই এখন আর নিশ্চয়তা দিতে পারবে না, যে ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আজ নেগেটিভ এসেছে, কাল সেটি পজেটিভ হবে না।”“সামাজিক সংক্রমণ” বলতে মূলত বোঝায়, কোনও ব্যক্তি ভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত হয়েছে ঠিকই তবে তিনি বিদেশফেরত নন অথবা অন্যান্য আক্রান্ত কারো সাথে সাম্প্রতিক সময়ে তার কোনও যোগাযোগ ছিলো না। অর্থাৎ এটি এমন একটি পরিস্থিতি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যেখানে ভাইরাস সংক্রমণের কোনও সুনির্দিষ্ট উৎস খুঁজে পাওয়া যায় না।নাসিমা সুলতানা জানান, বর্তমানে দেশের জনগণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোনও স্বাস্থ্যবিধি বা দিকনির্দেশনাই মেনে চলছেন না। তিনি বলেন, “আমি বলতে চাই, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি কিন্তু কোনও অপরাধী নন। তবে আমরা দেখতে পাচ্ছি কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজেটিভ এলে সেই রোগী ও তার পরিবারের সঙ্গে হয়রানিমূলক আচরণ করা হচ্ছে।”আক্রান্তদের সংখ্যার আধিক্যে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৪১তমবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গত ৯ মার্চের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাইওয়ান ছাড়া বিশ্বের ১০১টি দেশের করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বাংলাদেশ থেকে অনেক বেশি। তবে শুক্রবার (১ মে) বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, এর ৫৪ দিনের মধ্যেই বাংলাদেশ আক্রান্তের সংখ্যার বিচারে বিশ্বে ৪১তম অবস্থানে চলে আসে। অন্যদিকে, সার্কভুক্ত অঞ্চলে কেবল ভারত ও পাকিস্তান বাংলাদেশের আগে রয়েছে। পাকিস্তান ১৬,৮১৭ শনাক্ত ও ৩৮৫ জন মৃত্ নিয়ে ২৫তম অবস্থানে রয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ৩৫,০৪৩ জন আক্রান্ত শনাক্ত ও ১,১৫৪ জনের মৃত্যু হওয়া ভারতের অবস্থান ১৬তম।আবার আফগানিস্তানের অবস্থান বর্তমানে বিশ্বে ৬৪তম। দেশটিতে মোট আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ২১৭১ ও মারা গেছেন ৬৭জন। শ্রীলঙ্কা ৬৬৬ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ও ৭জন মৃত্যু হওয়ায় আছে শততম অবস্থানে। ৪৬৮ জন আক্রান্ত ও একজনের মৃত্যু নিয়ে মালদ্বীপের অবস্থান বিশ্বে ১১২তম।অন্যদিকে, নেপালের অবস্থান বাংলাদেশের আগে থাকলেও দেশটি এখন ৫৯জন আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ায় ১৬৪তম অবস্থানে রয়েছে। আর ভুটানে এখনও একজন রোগীও মারা যায়নি এবং সেখানে এখন পর্যন্ত মাত্র সাতজন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে।