গত ২৯ এপ্রিল চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বৈশাখী বড়ুয়ার করোনাভাইরাস শনাক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট “কোভিড-১৯ পজিটিভ” এলেও দ্বিতীয়বার নমুনা পরীক্ষায় তা “নেগেটিভ” এসেছে।
বুধবার (০৬ মে) দ্বিতীয়বারের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর ইউএনও নিজে ঢাকা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার তৃতীয়বারের মতো তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এস এম শোয়েব আহমেদ চিশতী বলেন, “প্রথমবার ইউএনও’র নমুনা পরীক্ষা করা হয় ঢাকার শিশু হাসপাতালে। ২৯ এপ্রিল ফলাফল ‘পজিটিভ’ এলে ওইদিনই তিনি আবারও পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। দ্বিতীয়বারের নমুনা পাঠানো হয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর)। আইইডিসিআর সেই নমুনা পাঠায় ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথে (আইপিএইচ)। আইপিএইচে’র পরীক্ষায় তার রিপোর্ট এসেছে নেগেটিভ।”
তিনি আরও বলেন, “ইউএনও বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। আবারও নমুনা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তিনি কোয়ারেন্টিনেই থাকবেন।”
হাজীগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা জানান, নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসায় ইউএনও হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। তবে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। আজ (৬ এপ্রিল) আসা রিপোর্টে তার ফলাফল ‘নেগেটিভ’ এসেছে। তবে গতকাল তিনি আবারও নমুনা দিয়েছেন। এই নমুনার রিপোর্ট এলে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।
ইউএনও বৈশাখী বড়ুয়া ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “আমি পুরোপুরি সুস্থ আছি। কোনো ধরনের উপসর্গ লক্ষ্য করিনি। তবুও প্রথমবার আমার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর আমি ওইদিনই আবার পরীক্ষার জন্য নমুনা দেই। আজ আইইডিসিআর থেকে রিপোর্ট পেয়ে স্বস্তি পেলাম।”
চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্যাহ জানান, “ওনার (ইউএনও) রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর আবারও নমুনা পাঠানো হয়। আজকের পাওয়া রিপোর্টে দেখা গেছে তিনি আক্রান্ত নন। তবুও আরেকটি নমুনা পাঠিয়েছি, সেটির রিপোর্ট এলে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে।”
সিভিল সার্জন আরও বলেন, “পজিটিভ আসার তিন-চারদিন পরও নেগেটিভ আসতে পারে। তাছাড়া ওনার এমনিতেও সুস্থ হওয়ার সময় হয়ে গেছে।”