মৌলভীবাজার “আদালত বসিয়ে” বানরের ফাঁসির পর এবার একটি বানরকে তার পেঁচিয়ে ও গলাটিপে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।সম্প্রতি শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর ইউনিয়নের পশ্চিম লইয়ারকুল গ্রামের কুমিল্লা পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
বানরটিকে হত্যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
এদিকে, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছে বন বিভাগ। মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন সোমবার (১১ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বন্যপ্রাণী হত্যা মামলার আসামিরা হলেন, সাহেব আলী, জামাল মিয়া ও কুদ্দুছ মিয়া। তারা প্রত্যেকেই ভূনবীর ইউনিয়নের পশ্চিম লইয়ারকুল গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন - মৌলভীবাজারে ‘আদালত’ বসিয়ে বানর হত্যা!
রেঞ্জ কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন বলেন, “বানর হত্যার ঘটনা তদন্তপূর্বক গত ৫ এপ্রিল মৌলভীবাজার আদালতে মামলা দায়ের করি।”
তিনি আরও বলেন, “বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ এ ৬ ও ৩৯ ধারায় তিনজনকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করেছি।”
প্রসঙ্গত, ৩১ মার্চ একটি বানর পার্শ্ববর্তী বনাঞ্চল থেকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার পশ্চিম লাইয়ারকুল গ্রামের কুমিল্লা পাড়া গ্রামে চলে আসে। পরে স্থানীয় তিন ব্যক্তি সেটিকে আটক করে গলায় লোহার তার পেঁচিয়ে ও গলাটিপে হত্যা করে। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, গ্রামের কুদ্দুছ মিয়া, জামাল মিয়া ও সাহেব আলী এই তিন ব্যক্তি বানরটিকে হত্যা করছে।
আরও পড়ুন - খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে ১৫টি বানর হত্যা!
এর আগে গত বছরের ১৯ নভেম্বর মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় লোকালয়ে চলে আসা একটি বানরকে “জনতার আদালত” বসিয়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে স্থানীয়রা। ওই ঘটনায় বন বিভাগ কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে বরং স্থানীয় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা জুলহাস উদ্দিন বানর হত্যাকারীদের সাফাই গেয়ে বলেছিলেন, “বানর ধরা বা তাড়ানোর সরকারি কোনো সাপোর্ট না থাকায় বানরটিকে মেরে ফেলার জন্য লোকজনকে পরামর্শ দেই। তারা মেরে ফেলেছে তাতে ভালোই হয়েছে।”
এদিকে, গত ৫ মে বিকেলে মাদারীপুর সদর উপজেলার চরমুগরিয়া এলাকায় খাবার সাথে বিষ মিষিয়ে ১৫টি বানর হত্যার অভিযোগে দেবর-ভাবীকে আটক করেছে স্থানীয় থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন - শকুন সংরক্ষণে বাংলাদেশ, কী করছে সরকার?