ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপির জন্য শনিবার (১৬ মে) থেকে শুরু হয়েছে প্লাজমা সংগ্রহ।
শুক্রবার (১৫ মে) এ প্রসঙ্গে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “করোনাভাইরাসের এখনও পর্যন্ত কোনও ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি, সেক্ষেত্রে এ ভাইরাস মোকাবেলায় এটি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।” ঢামেকের ট্রানসিজন মেডিকেল টিমের তত্বাবধানে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, “করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি লাভ করেছেন এরকম ব্যক্তিদের কাছে আমরা প্লাজমা সংগ্রহ করে থাকি।”
এর আগে, গত ৬ মে ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি এক রোগী এ প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়, সেসময় ঢামেক হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. জোয়ার্দার রাকিন মনজুর প্লাজমা দেন।
এর আগে গত ১৭ এপ্রিল এ বিষয়ে টেকনিক্যাল সাব কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পরবর্তীতে গত ২৮ এপ্রিল ঢামেকের ব্লাড ট্রান্সফিউশন বিভাগ করোনাভাইরাসের রোগীদের চিকিৎসায় করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত হয়েছেন এমন ব্যক্তির কাছ থেকে প্লাজমা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়। দেশের অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে একই পদ্ধতিতে চিকিৎসা সংক্রান্ত তত্বাবধানে রয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ঢামেক হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মহিউদ্দিন আমহেদ খান বলেন, “করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার ১৪ দিন একজন ব্যক্তি প্লাজমা দিতে পারেন। এ সময়ের মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তির প্লাজমায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। ওই অ্যান্টিবডিই অসুস্থদের সারিয়ে তোলার জন্য ব্যবহার হবে।”
এরই মধ্যে যেসব ব্যক্তি সুস্থ হয়েছেন, তাদেরকে প্লাজমা ডোনেটের জন্য এগিয়ে আসতে আহ্বান জানিয়েছে ঢামেক কর্তৃপক্ষ।