কক্সবাজারের টেকনাফে কুতুপালং ক্যাম্পের ৫ হাজার রোহিঙ্গাকে লকডাউনের আওতায় এনেছে প্রশাসন। গত দুইদিনে ওই ক্যাম্পের তিন রোহিঙ্গার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসায় ক্যাম্পটিকে লকডাউন করে দেওয়া হয়।
শরণার্থী, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিশনের স্বাস্থ্যবিষয়ক সমন্বায়ক আবু তোহা এমআরএইচ ভুঁইয়া ইউএনবি’কে জানান, শুক্রবার (১৫ মে) রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া তিন রোহিঙ্গার মধ্যে দুইজন কুতুপালং ৫নং ক্যাম্পের বাসিন্দা। সেখানকার ৫হাজার বসবাসকারীর শরীরের নমুনাই পরীক্ষা করা হবে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার একই ক্যাম্পের আরেক রোহিঙ্গা শরণার্থীর দেহেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। সেসময় স্থানীয় আরেকজনের দেহেও করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
এপ্রিলে কক্সবাজার জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ দেখা দিলে শরণার্থী ক্যাম্পগুলো লকডাউন করে স্থানীয় প্রশাসন। সেসময় সেখানে ক্যাম্পের বাইরে যাওয়া ও আসায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
ক্যাম্পে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার পর স্বাস্থ্যকর্মীরা এর সংক্রমণ ঠেকাতে আইসোলেশন চিকিৎসাকেন্দ্র ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করতে শুরু করেন।
এদিকে, জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, বাংলাদেশের ক্যাম্পগুলোতে বসবাসকারী রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে।
একইসাথে, বাংলাদেশের ক্যাম্পগুলিতে উল্লেখযোগ্য প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে সম্ভাব্য মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।