করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট কোভিড-১৯ রোগে সারাদেশে আক্রান্তদের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২০ হাজার। সারাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যেই ৫৮ শতাংশই ঢাকা শহরের।
শুক্রবার (১৫ মে) পর্যন্ত জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্যানুসারে আক্রান্তদের মধ্যে ৮,৫৯৩জন ঢাকা শহরের বাসিন্দা। যা মোট আক্রান্তের ৫৭.৮৯%। এমনটিই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ইউএনবি।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ঢাকা শহরের বাইরে কিন্তু বিভাগের মধ্যে পড়ে এমন এলাকা ও জেলাগুলোতে ৩,১৬৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
ঢাকা শহর বাদে ঢাকা বিভাগে আক্রান্তের হার এপর্যন্ত ২১.২৭%। বিভাগের ভিত্তিতে ঢাকার পরেই দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম। এছাড়া ময়মনসিংহ বিভাগে ৩.৫%, রংপুরে ২.৫৭%, খুলনায় ১.৮৫%, সিলেটে ১.৪৮% এবং রাজশাহীতে ১.৪% জনগণ আক্রান্ত হয়েছেন।
শুক্রবার দেশে ১২০২ জন নতুন করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়। একইদিন নতুন করে ১৫ জনের মৃত্যুতে শুক্রবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৯৮ জনে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩ লাখ ৮ হাজার।
কীভাবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে সর্বপ্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ১৮ মার্চ প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের কারণে একজনের মৃত্যু হয়। এটি বাড়তে শুরু করে মধ্য এপ্রিলের দিকে।
এরপর গত ২৬ মার্চ থেকে করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। যদিও এরপর অনেকে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে বাসার বাইরে বের হয়েছেন।
গত ১৬ এপ্রিল, সারাদেশ করোনাভাইরাসের কারণে ঝুঁকির মুখে রয়েছে, সরকারের স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের এমন ঘোষণার প্রেক্ষিতে চলাফেরার ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়।
সম্প্রতি আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্রকে শপিংমল ও মার্কেট খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায় সরকার। যদিও বেশ কয়েকটি শপিংমল কর্তৃপক্ষ তাদের শপিংমল না খোলার সিদ্ধান্ত নেন।
পরবর্তীতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের নিষেধ সত্ত্বেও সরকার পোশাক খাতের মতো বেশ কয়েকটি খাত খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করে।
যদিও এরইমধ্যে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আগামী ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।