ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে কক্সবাজারে প্রায় ৫০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে এবং ২৫৬টি ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির স্বেচ্ছাসেবক ইউনিট রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রাথমিক সতর্কবার্তা পৌঁছে দিচ্ছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, আম্পানের কারণে সম্ভাব্য যে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে তার জেরে জরুরি সহায়তা প্রদানের জন্য তারা প্রস্তুত রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ও বর্ষা মৌসুমে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে ভূমিধসের ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য আইওএম, ইউএনএইচসিআর ও ডব্লউএফপি’র যৌথ উদ্যোগে সাইট রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রকৌশল প্রকল্প- এসএমইপি এর আওতায় সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলি চিহ্নিত করে বাঁশ ও পাথরের দেয়ালের মাধ্যমে তা সুরক্ষিত করা হয়েছে।
আইওএম জানিয়েছে, কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান প্রস্তুতি ও তা মোকাবিলায় উখিয়া, টেকনাফ, রামু ও মহেশখালী উপজেলায় আইওএম বাংলাদেশের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ইউনিটের সহায়তায় ২১টি ইউনিয়নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আইওএম বাংলাদেশ মিশনের উপপ্রধান ম্যানুয়েল পেরেরা বলেন, “আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন কারণ কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই একটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে জেলায় নতুন মানবিক সংকট দেখা দেবে।”
সরকারি কর্মকর্তাদের তথ্য মতে, কক্সবাজারে ১৮ মে পর্যন্ত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৫জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী (১৪০টি পরীক্ষার ভিত্তিতে) শনাক্ত হয়েছে।