বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণকক্ষ জানিয়েছে, ঘুর্ণিঝড় আম্ফান এই মুহূর্তে রাজশাহীতে অবস্থান করছে। সেখানে ক্ষমতা হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে সুপার সাইক্লোনটি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, যেকোন সময়ে মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এখবর নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
এর আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে বুধবার (২০ মে) বিকেলের পরে দক্ষিণাঞ্চলীয় সাতক্ষীরা এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ঘূর্ণিঝড়টি।
আম্ফানের আঘাতে এপর্যন্ত বাংলাদেশে আটজন ও পশ্চিমবঙ্গে ১২জনের মৃত্যুর খবর জানা গিয়েছে।
বড় ক্ষতি সাতক্ষীরায়
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বিবিসি’কে জানান, অন্তত চারটি উপজেলার ২৩টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
তিনি সঠিক কোন হিসেব দিতে পারেননি, জানান, দুপুর নাগাদ একটা চিত্র পাওয়া যাবে। তবে এখন পর্যন্ত যে ধরনের খবরাখবর পাচ্ছেন, তাতে অন্তত ৫/৭টি পয়েন্ট দিয়ে পানি প্রবেশ করে বহু চিংড়িঘের ও বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চল তলিয়ে গেছে।
এছাড়া বহু কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙে পড়ার খবর তিনি দিচ্ছেন।
সাতক্ষীরায় আমেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রাজশাহী অঞ্চলের বাইরে সাতক্ষীরাতেও আমের বড় ধরণের ফলন হয়।
গাছপালা পড়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা রাস্তা থেকে ভাঙা গাছপালা সরিয়ে সড়ক যোগাযোগ পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু করছেন বলে জানান জেলা প্রশাসক।
সাতক্ষীরায় এখন পর্যন্ত সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত চারটি উপজেলা হচ্ছে-শ্যামনগর, আশাশুনি, কালিগঞ্জ ও সাতক্ষীরা সদর।
ঘূর্ণিঝড়টি মূলত বাংলাদেশে প্রবেশ করে শ্যামনগরের সর্বদক্ষিণের লোকালয় মুন্সীগঞ্জ সংলগ্ন সুন্দরবন দিয়ে। এখান থেকে কিছুটা দক্ষিণে এগোলেই সুন্দরবনের ভারতীয় অংশ শুরু।