ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাতে খুলনার ৯টি উপজেলার ৮৩ হাজার ৫৬০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে সম্পূর্ণ বা আংশিক আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন জেলার প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছেন কয়রা উপজেলায় মানুষ।
খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজিজুল হক জোয়ার্দ্দার বলেন, আম্ফানের আঘাতে খুলনা ৯টি উপজেলার ৬৮টি ইউনিয়ন এলাকায় কমবেশি ক্ষতি হয়েছে। অনেক এলাকায় ঘর ভেঙে পড়েছে। অনেক এলাকায় ঘর আংশিক ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে খুলনায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের সংখ্যা ৮৩ হাজার ৫৬০টি। কয়রায় বাঁধ ভেঙে গেছে।
কয়রা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মো. জাফর রানা বলেন, আম্ফানের আঘাতে কয়রার ৪টি ইউনিয়নের ৫২টি গ্রাম সম্পূর্ণ ও আরও ২টি ইউনিয়নের ২৪টি গ্রাম আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলায় সবগুলো বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২১টি স্থানে বাঁধে ভাঙন ধরেছে। উপজেলার ৫১ হাজার ঘর বাড়ি সম্পূর্ণ বা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে ১ লাক ৮২ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দাকোপ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শেখ আব্দুল কাদের বলেন, আম্ফানের আঘাতে দাকোপ উপজেলায় ১ হাজার ১শ ঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বটবুনিয়া বাজার সংলগ্ন এলাকায় ২টি স্থানে বাঁধ ভেঙে গেছে। দাকোপে বেড়িবাঁধের আধা কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তেরখাদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষ্ণুপদ পাল জানান, ঝড়েরর আঘাতে তার উপজেলায় ৩৭০টি ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫টি ঘর সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে।