নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ৯০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২১ মে) রাতে চাঁন মিয়া নামে ওই বৃদ্ধকে শহরের জামতলা এলাকায় মেয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত চাঁন মিয়ার বাড়ি চাঁদপুর জেলার দক্ষিণ মতলব থানাধীন পুটিয়া এলাকায়।
এর আগে ভুক্তভোগী ওই শিশুর নানী ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে, ধর্ষণের পর এক হাজার টাকার বিনিময়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাড়িওয়ালা জসিম মুন্সির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণের শিকার শিশুর পরিবার দরিদ্র হওয়ায় এক হাজার টাকা দিয়ে বাড়ির মালিক ঘটনাটি ধামাচাপ দেওয়ার চেষ্টা করেন।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ফতুল্লার পশ্চিম মাসদাইর প্রাইমারি স্কুল এলাকায় জসিম মুন্সির বাড়ির নিচতলায় ভাড়াটিয়া হিসাবে থাকেন চাঁন মিয়া। তিনি সেখানে শুটকি বিক্রি করে। একই এলাকায় বাবা-মা ও নানীসহ সেখানে থাকে ধর্ষণের শিকার শিশুটি। কিছুদিন আগে ছোট শিশুটিকে নানীর কাছে রেখে বাবা মা গ্রামের বাড়ি বেড়াতে যায় এবং লকডাউনে আটকা পড়েন।
এরইমধ্যে গত মঙ্গলবার (১৯ মে), শিশুটির নানী তাকে বাসায় রেখে কাজের সন্ধানে বের হন। সেই সুযোগে চাঁন মিয়া তার ঘরে শিশুটিকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে বাসায় ফিরলে ঘটনাটি বিস্তারিত নানীকে জানায় সে শিশুটি।
শিশুটির নানী ঘটনাটি বাড়িওয়ালাকে জানালে বাড়িওয়ালা চাঁন মিয়ার সাথে পরামর্শ করে তার (শিশুটির নানীর) হাতে এক হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করে।
কিন্তু ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে বাড়িওয়ালা চাঁন মিয়াকে আত্মগোপনে যেতে সুযোগ করে দেয় বলেও অভিযোগ ওঠে। পরে শিশুটির নানী বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে চাঁন মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোদাচ্ছের ঢাকা ট্রিবিউনকে জানান, ঘটনাটি ৪দিন আগের। এতদিন বিষয়টি ধামাচাপার চেষ্টা চালাচ্ছিলো বাড়ির বাড়িওয়ালা ও অভিযুক্ত পরিবারের সদস্যরা। ভুক্তভোগী শিশুর নানীর অভিযোগ, তারা তাকে এক হাজার টাকা দিয়ে তার নাতীকে চিকিৎসার জন্য পাঠায় ও বিষয়টি বাইরে না জানানোর জন্য নিষেধ করে। পরবর্তীতে ওই শিশুর নানী ফতুল্লা থানায় মামলা করলে বৃদ্ধকে গ্রেফতার করা হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, “এ ঘটনায় মামলা দায়েরের সাথে সাথে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত চাঁন মিয়া ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছে। আজ (শুক্রবার) বিকেলে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো করা হয়েছে।”