নোয়াখালীতে একদিনে নতুন করে ৭৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলাটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৫২ জনে। এছাড়া গতকাল ২২ মে জেলাটির সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ৬ জন কর্মচারী শনাক্ত হওয়ায়, দাপ্তরিক সকল কার্যক্রম বাসা থেকে করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মোমিনুর রহমান।
শনিবার (২৩ মে) সকাল ১০ টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বেগমগঞ্জে ১৭৮ জন, কবিরহাটে ৫৪ জন, সদরে ৪১ জন, চাটখিলে ২৬ জন, সোনাইমুড়ীতে ১৮ জন, সুবর্ণচর ১১, সেনবাগে ১১ জন, কোম্পানীগঞ্জ ৭ জন ও হাতিয়ায় ৬ জনসহ জেলায় মোট ৩৫২ জনের করোনা শনাক্ত হলো।
এরমধ্যে বেগমগঞ্জে ৭ জন, সদরে ৭, চাটখিল ৫, সোনাইমুড়ি ৩ জন, হাতিয়ায় ৩ জন, কবিরহাট ১ জন ও কোম্পানীগঞ্জ ১ জনসহ মোট ২৭ জন আইসোলেশন থেকে করোনাভাইরাস জয় করে বাড়ি ফিরেছেন। সোনাইমুড়িতে ২ জন, বেগমগঞ্জে ২ জন ও সেনবাগে ১ জনসহ মোট ৫ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে বেগমগঞ্জের ১ জনসহ মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস বলেন, উপজেলায় ৪২ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে করোনা পজিটিভ আসে। তাদেরকে আপাতত হোম আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া, তাদের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে, তাদের সংস্পর্শে আসা অন্যান্যদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে।
কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস বলেন, উপজেলার ১৬ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে করোনা পজিটিভ আসে। তাদেরকে আপাতত হোম আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া, তাদের বাড়ি লকডাউন ঘোষনা করে, তাদের সংস্পর্শে আসা অন্যান্যদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে।
চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ বলেন, “উপজেলায় নতুন করে আরও ৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের বাড়ি লকডাউন ঘোষনা করে তাকে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। উপজেলায় মোট আক্রান্ত ২৪ জন।”
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, “উপজেলায় ১০ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে করোনা পজিটিভ আসে। তাদেরকে আপাতত হোম আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া, তাদের বাড়ি লকডাউন ঘোষনা করে, তাদের সংস্পর্শে আসা অন্যান্যদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে।”