গোপালগঞ্জের কাঠমিস্ত্রী কমলেশ বাড়ৈকে (৪৫) হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন স্ত্রী সুবর্ণা ও তার পরকীয়া প্রেমিক মম্মথ বাড়ৈ। বুধবার (২৭ মে) জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার বিশ্বাসের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তারা।
আদালতের কাছে হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তি দিয়ে তারা জানান, পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর কমলেশ ও সুবর্ণা দম্পতির মধ্যে অশান্তি চলে আসছিলো।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে সুবর্ণা ও তার প্রেমিক মম্মথ মিলে কমলেশকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
সে অনুযায়ী গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে খাবারের সঙ্গে মম্মথের দেওয়া ঘুমের ওষুধ স্বামীকে খাওয়ায় সুবর্ণা। অচেতন হয়ে পড়লে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় কমলেশকে। পরে বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে মম্মথের মাছের ঘেরে পাড়ে মাটি চাপা দিয়ে মরদেহ পুঁতে রাখা হয়।
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন জানান, কমলেশ নিখোঁজ হয়েছেন,জানিয়ে তার ভাই রবেণ বাড়ৈ গত ৩ মার্চ কোটালীপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে নামে পুলিশ।
আরও পড়ুন- স্ত্রীর পরকীয়া: নিখোঁজের তিন মাস পর কাঠমিস্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
মঙ্গলবার বিকেলে ওই ঘেরের পাড় থেকে মাটি খুঁড়ে কমলেশের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওইদিনই কমলেশের স্ত্রী সুবর্ণাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। রাতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তার প্রেমিক মম্মথকে মাদারীপুর জেলার রাজৈর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার তাদেরকে গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তারা এ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে।
কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ লুৎফর রহমান বলেন, এ ঘটনায় কমলেশের ভাই রবেণ বাড়ৈ বাদী হয়ে সুবর্ণা ও মম্মথকে আসামী করে মঙ্গলবার রাতেই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।