দুই মাসেরও বেশি সময় পর সরকারের নির্দেশে চালু হতে চলেছে রেল চলাচল। আগামী রবিবার (৩১ মে) থেকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, “স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার জন্য সীমিত সংখ্যক ট্রেন চালু করা হবে। প্রাথমিকভাবে শুধু আন্তঃনগর এক্সপ্রেসগুলো চালু করা হবে। এর পাশপাশি সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য ৫০% টিকেট বিক্রি করা হবে।”
নুরুল ইসলাম সুজন আরও বলেন, “যেখানে ৫টি ট্রেন চলতো সেখানে এখন ২টি চলবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে আমরা ৬টি ট্রেন পরিচালনা করি। বর্তমানে এই রুটে ২টি ট্রেন চলাচল করবে।”
রেলমন্ত্রী বলেন, “নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে আসন বিন্যাস করা হবে। এতে যাত্রীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত হবে।”
প্রসঙ্গত, যাত্রীদের জন্য মাস্ক পরিধান করা বাধ্যতামূলক করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এর পাশপাশি যাত্রীদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ করবে বলেও জানিয়েছে রেলওয়ে।
রেলওয়ের প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুসারে, রবিবার থেকে ৮টি ট্রেন পরিচালিত হবে। ৩ জুনের পর ৯টিরও বেশি ট্রেন চলাচল করবে।
ইতোমধ্যে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে নতুন আসন বিন্যাস অনুযায়ী টিকেট বিক্রি করতে শুরু করেছে রেলওয়ে। যাত্রীদের অনলাইনে টিকেট কাটার জন্য উৎসাহিত করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
তবে এসব পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়ন রেলওয়ের জন্য চ্যালেঞ্জের বিষয়। প্রতিবছর ঈদের সময় যাত্রীদের ভিড় সামলাতে হিমসিম খেতে দেখা যায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে। এমনকি যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদেও বাড়ি ফিরতে দেখা যায়।
এ প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী সুজন বলেন, “ট্রেন চলাচল চালুর পর কী হবে সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবো। যদি জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি, তাহলে অন্য পরিকল্পনা করা হবে।”
উলেখ্য, চালু হতে যাওয়া ট্রেনের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট রুটে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস, ঢাকা-রাজশাহী রুটে বনলতা এক্সপ্রেস, ঢাকা-খুলনা রুটে চিত্রা এক্সপ্রেস, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ও লালমনি এক্সপ্রেস রয়েছে।