বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে শান্তিরক্ষীদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের স্বীকৃতি স্বরূপ বিশেষ স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত করেছে জাতিসংঘ। শনিবার (৩০ মে) জাতিসংঘের পোস্টাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের যৌথ উদ্যোগে “জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের আন্তর্জাতিক দিবস-২০২০” (শান্তিরক্ষী দিবস) উপলক্ষে এ ডাকটিকিট অবমুক্ত করা হয়।
স্মারক ডাকটিকিটের ফলিওতে রয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, মুজিব বর্ষের লোগো এবং জাতির পিতার প্রতিকৃতিসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ছবি। আরও রয়েছে জাতিসংঘের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নিয়োজিত বাংলাদেশের দু’জন নারী হেলিকপ্টার পাইলটের আইকনিক প্রতিকৃতি।
এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, “এটি জাতির পিতার দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং শান্তির মতবাদের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিনম্র ও যথোপযুক্ত শ্রদ্ধাঞ্জলী। যে শান্তির মতবাদের ভিত্তির ওপর গড়ে উঠেছে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি। এটি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে আমাদের প্রতিশ্রুতি এবং আমাদের বীর ও নিঃস্বার্থ শান্তিরক্ষীদের প্রতি যথোপযুক্ত সম্মানেরও নিদর্শন।”
এ স্মারক ডাকটিকিট জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের বছরব্যাপী উদ্যোগেরই অংশবিশেষ। এটি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের সুদীর্ঘ ও গৌরবময় অংশ গ্রহণেরও স্বীকৃতি বলে জানান তিনি।
এদিকে, জাতিসংঘ সদরদপ্তরে দিনটি উদযাপনের অংশ হিসেবে ব্লু হেলমেটের অধীনে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের স্মৃতির উদ্দেশে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিনম্র শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছেন মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ।
পরে, ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতিসংঘ মহাসচিব ২০১৯ সালে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী ৮৩ শান্তিরক্ষীকে মরণোত্তর দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেলে ভূষিত করেন। যার মধ্যে বাংলাদেশের দুজন আত্মোৎসর্গকারী শান্তিরক্ষী কনস্টেবল মোহাম্মদ ওমর ফারুক এবং সৈনিক আাতিকুল ইসলাম রয়েছেন।
এ স্মরণ ও পদক প্রদানের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমাসহ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর স্থায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।