নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় খুটামারা ইউনিয়নের টেঙ্গনমারী গ্রামে এক করোনাভাইরাস শনাক্ত রোগীকে বাড়িতে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
শনিবার (৩০ মে) রাতে ওই রোগীকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সসহ উপজেলার স্বাস্থকর্মী তার বাড়িতে গেলে বেড়িয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এতে ওই এলাকার মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের মবু মিয়ার ছেলে মনজুরুল ইসলাম (২৬)। সে ঢাকা থেকে ১০ মে গ্রামের বাড়িতে স্ত্রীসহ ঈদ করতে আসে। তার শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দিলে গত ২৪ মে তার পরিবারের সকলের নমুনা নেয় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মীরা। ২৫ মে ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হয়। ঈদ শেষে একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে সে তার স্ত্রীসহ আরও ১৩ জন ঢাকা চলে যায়। শনিবার (৩০) মে মনজুরুল ইসলামের নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ আসে।
এ বিষয়ে, মুঠোফোনে মনজুরুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন ও নারায়গঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের একটি টেক্সটাইল মিলে চাকরি করছেন বলে উল্লেখ করেন।
রবিবার (৩১ মে) সকালে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবু হাসান মো. রেজওয়ানুল কবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমরা রোগীকে তার বাড়িতে না পেয়ে তার মোবাইলে কল দিয়ে কথা বলি। তিনি নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জের একটি ট্রেক্সটাইলে চাকরি করছেন। বিষয়টি আমরা নারায়গঞ্জের স্বাস্থ্য বিভাগকে অবগত করেছি। সেখানে তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে নেয়া হবে।
তৈয়ব আলী সরকার নীলফামারী।