দীর্ঘদিন ধরে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার দশআনী নদী থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিনে চলছে বালু উত্তোলন। এতে হুমকির মুখে পড়েছে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত টুংরাপাড়া সেতুসহ ভাঙনরোধে সরকার নির্মিত বাঁশের বাঁধ ও ফসলি জমি।
অবৈধ ড্রেজার মালিকদের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করলে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের মরাকান্দী টুংরাপাড়া গ্রামের দশআনী নদীতে একাধিক অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই একটি চিহ্নিত চক্র বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। মাঝেমধ্যে প্রশাসনের অভিযানে উচ্ছেদ করা হলেও রহস্যজনকভাবে বারবার ফিরে আসছে বালুদস্যুদের দল।
ইসলামপুর উপজেলা থেকে বকশীগঞ্জ-শ্রীবরদী উপজেলার একমাত্র যাতায়াত পথ দশআনী নদীর ওপর নির্মিত সেতু।
সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর দুপান্তেই ড্রেজার মেশিন বসিয়ে চলছে বালু উত্তোলন। পাশেই সড়ক সংলগ্ন বেড়িবাঁধ।
ফলে কেবল সেতুই নয়, বাধ ধসে ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে ইসলামপুর-ঝগড়ার চর পাকা সড়ক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ শত শত পরিবারের বসতভিটা ও ফসলি জমি।
শুধু মরাকান্দী টুংরাপাড়াই নয়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নদনদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে শতাধিক ড্রেজার মেশিন। বালু ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের নাম বলতে রাজি হয়নি কেউ।
স্থানীয় বাসিন্দা দেলু মিয়া, মোশারফ হোসেন, আয়নাল হক, ইদ্রিস আলীর ভাষ্য, বালু উত্তোলনকারীরা অনেক প্রভাবশালী। তাদের হাত অনেক লম্বা। তাদের এই অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। তাই তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।
ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশনে থাকায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুরাইয়া আক্তার লাকী ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা কিছুদিন আগেও সেখানে অভিযান পরিচালনা করে ড্রেজার মেশিন নষ্ট করে দিয়েছি। তবে প্রভাবশালীদের বিষয়ে স্থানীয়রা কোনো অভিযোগ করেনি।
শিগগিরই আবার সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানা তিনি।