গোপালগঞ্জে গৃহবধূ আফরোজা বেগমের (৪০) মৃত্যু হয় কিডনি রোগে। তারপরও ওই নারীর লাশ দাফনে স্বজনরা এগিয়ে আসেনি। স্থানীয়রাও লাশ দাফনে বাধা দেয়। খবর পেয়ে কাশিয়ানী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দাফন করে।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় কাশিয়ানী উপজেলার বলুগ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। আফরোজা বেগম বলুগ্রামের খলিরুর রহমানের মেয়ে। তার শ্বশুরবাড়ি সাতক্ষীরায়।
কাশিয়ানী থানার ওসি মো. আজিজুর রহমান বলেন, “আফরোজা বেগম দীর্ঘদিন কিডনি রোগে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি শ্বশুরবাড়ি সাতক্ষীরা থেকে কাশিয়ানী উপজেলার বলুগ্রামে বাবার বাড়িতে আসেন এবং বিকেলে তিনি মারা যান। করোনায় আফরোজা মারা যেতে পারে, এ আতংকে স্বজনরা কেউ তাকে দাফন করতে এগিয়ে আসেনি। এছাড়া স্থানীয়রা লাশ দাফনে বাধা দিচ্ছে এমন অভিযোগ আমাদের কাছে আসে। খবর পেয়ে থানার এএসআই আসাদুজ্জামামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জানাযা শেষে বলুগ্রামের কবরস্থানে আফরোজার লাশ দাফন করেন। দাফনে ওই মহিলার স্বামী ও ভাই অংশ নেন। এ জন্য আমি এএসআই আসাদুজ্জামান ও পুলিশ সদস্যদের ধন্যবাদ জানাই।”
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করার আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ওসি।
এএসআই আসাদুজ্জামান বলেন, “এটি আমাদের দায়িত্ব। তাই গ্রামবাসীকে বুঝিয়ে কবর খনন করা হয়। তারপর মসজিদের ইমামকে ডেকে জানাযা পড়িয়ে লাশ দাফন করা হয়। এ কাজে পুলিশ ও পরিবারের দু’ সদস্য অংশ নেন।”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক গ্রামবাসী বলেন, “করোনায় মারা গেছে এ আতংকে স্বজনরা লাশ দাফনে যায়নি। তারপর লাশ দাফনে ও জানাযায় স্থানীয়রা বাধা দেন। ফলে আফরোজার বাবারবাড়ির লোকজন বিপাকে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ওই পরিবারের দু’ সদস্যের সহযোগিতায় লাশ দাফন করেন।”